সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, বেড়েছে দুর্ভোগ

উজানের ঢলে ৮দিন বাড়তে থাকার পর সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি এখন অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বাঁধ ও পাকা রাস্তাসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেওয়া লোকজন বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও শৌচাগারের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বন্যা কবলিত এলাকার সব উঁচু বাঁধ, পাকা সড়ক ও বিভিন্ন উঁচু প্রতিষ্ঠানে বানভাসি পরিবারগুলো তাদের গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে করছে। চাহিদা মতো ত্রাণ পাচ্ছেন না বানভাসিরা। জেলায় এবার মোট ১৭৯টি আশ্রয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সোমবার (২০ জুলাই) সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার জানান, সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ১২ মিটার। যা বিপৎসীমার (১৩.৩৫ মিটার) ৭৭ সেন্টিমিটার উপরে।

এদিকে, যমুনায় দুইদিন ২৪ সেন্টিমিটার পানি কমলেও নিম্নাঞ্চলগুলো থেকে এখনো পানি নামতে শুরু করেনি। এ কারণে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। পানিবন্দি মানুষগুলো দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিনপাত করছে।

আরও পড়ুন :
করোনা প্রতিরোধে ‘ইমিউনিটি পিঠা’
এই সময় কাঁঠাল খাওয়া কেন জরুরি?
করোনার ভয়ে হাঁচি আটকে রাখছেন, হতে পারে মৃত্যুর কারণ!
আনারসের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা
গোসলের পানিতে পাতাটি মেশালেই সর্দি-জ্বর ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে!

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহমি জানান, চলতি বন্যায় ৬টি উপজেলার ২২৪টি গ্রামের এ পর্যন্ত ৪৭ হাজার ২১৭টি পরিবারের প্রায় সোয়া দুই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ওইসব এলাকায় ১৪ হাজার ১৩ হেক্টর আবাদি কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। চলমান বন্যায় ১৮৭টি ঘরবাড়ি এবং ৩৫টি শিক্ষাগ্রতিষ্ঠান আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে বন্যা কবলিতদের জন্য ২৬৭ মেট্টিক টন চাল ও ৩৯৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জুলাই ২০, ২০২০ at ১২:১৮:১৬ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এআর/এমএআর