স্বাস্থ্যবিধি মেনে যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনের ভোট সম্পন্ন

সুুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে ৭৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল সরব। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিত ছিল লক্ষ্যনীয়।

নাগরিক দায়িত্ব পালনের জন্য করোনার ভয় উপক্ষো করেই তারা ভোট কেন্দ্রে ভোটা দিতে এসেছেন মন্তব্য স্থানীয়দের। ভোটকেন্দ্র থেকে ভোটারদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুর কারণে গত ২১ জানুয়ারি আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে উপনির্বাচন দেওয়া হলে প্রার্থী হন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, বিএনপির আবুল হোসেন আজাদ ও জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান। তফসিল অনুযায়ী ২৯ মার্চ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরে ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণের তারিখ পুনরায় ঘোষণার পর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানায়।

আবুল, জহির, কালামসহ একাধিক ভোটাররা জানিয়েছেন, নাগরিক দায়িত্ব পালনের জন্য করোনার ভয় উপক্ষো করে তারা সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রে আসার পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক দেওয়া হয় ভোটারদের। হাত জীবাণুমুক্ত করে ভোট দিতে হচ্ছে। তবে ভোটারদের চাপ থাকায় শারীরিক দূরত্ব ঠিক থাকেনি।

সামাদ নামে এক ভোটার বলেন, ‘কাজ থাকায় সকাল সকাল এসেছি। মনে করেছিলাম ভোটার কম থাকবে এবং নিরাপদে ভোট দিয়ে যাবো। কিন্তু ভিড় বেশি হওয়ায় শারীরিক দূরত্ব মানতে পারছি না।’ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

শাহ আলাম শেখ নামে এক ভোটার বলেন, ‘বিএনপি ভোটে থাকলে ভালো হতো। ব্যালটে বিএনপির প্রতীক আছে, কিন্তু বাইরে প্রার্থী নেই। ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক।’

কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল গণি জানান, তার কেন্দ্রে ভোটার ৩ হাজার ১৪১। সকাল থেকে ভোটারদের উপস্থিতি ভালো। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটাররা আসতে শুরু করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করছেন। সকাল ৯টা থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে এ রিপোর্ট লেখা সময়ে ভোট ছে।

সাতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বরত এএসআই শাহিনুর ইসলাম জানান, নির্ধারিত সময়েই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরের পরিবেশও ভাল। ভোটারদের কোনও অভিযোগ নেই বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পুলিশের সঙ্গে কাজ করছে ৬ প্লাটুন বিজিবি। কেন্দ্রগুলো তদারকির দায়িত্বে থেকেছেন ১৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও ২৪টি মোবাইল টিম।

জুলাই ১৪, ২০২০ at ১৭:২২:১৬ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মাক/এমএআর