রায়পুরে স্ত্রীর অশ্লীল ছবি তুলে যৌতুক দাবি, মেম্বার স্বামী কারাগারে

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্ত্রীর অশ্লীল ছবি তুলে যৌতুক দাবি করায় স্বামী সুমন মিঝিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুমন উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার)।

গত ৯ জুলাই সুমনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (১৩ জুলাই) বিকেলে সুমনকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তাকে রায়পুর পৌর শহরের প্রধান সড়ক থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামসুল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসআই শামসুল আরেফিন জানান, স্ত্রীর দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সুমন মিঝিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, অশ্লীল ছবি তুলে যৌতুক দাবি ও মারধর করার ঘটনায় ৯ জুলাই স্ত্রী বাদী হয়ে স্বামী সুমনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন সুমনের মা নয়ন বেগম, বোন শাহানাজ বেগম ও ভাই মো. টুটুল।

আরও পড়ুন :
করোনা প্রতিরোধে ‘ইমিউনিটি পিঠা’
এই সময় কাঁঠাল খাওয়া কেন জরুরি?
করোনার ভয়ে হাঁচি আটকে রাখছেন, হতে পারে মৃত্যুর কারণ!
আনারসের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা
গোসলের পানিতে পাতাটি মেশালেই সর্দি-জ্বর ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে!

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে সুমন বিয়ে করেন। তখন তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে ফার্নিচার নিয়েছেন। সুমন নেশাগ্রস্ত ও পরকীয়া প্রেমে জড়িত। এরই মধ্যে তাদের সংসারে সন্তান জন্ম নেয়ার পর থেকে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করতেন সুমন।
এতে তার শ্বাশুড়ি, ননদ ও দেবর সহযোগিতা করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে মোটরসাইকেল কেনার জন্য স্ত্রীকে দিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা নেন সুমন। ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর সুমন ফের টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু এতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্ত্রীকে তিনি মারধর করেন। এতে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যান।

গত ৩০ নভেম্বর এফিডেভিটের মাধ্যমে স্ত্রী তাকে তালাক দেন। পরে ক্ষমা চাইলে ২৩ ডিসেম্বর তালাক প্রত্যাহার করে নেন তার স্ত্রী। ফের তারা সংসার শুরু করেন। এরমধ্যে সুমন তার স্ত্রীর কিছু অশ্লীল ছবি মোবাইলে ধারণ করেন। ছবিগুলো পুঁজি করে চলতি বছর ১ জুলাই সুমন ৩ লাখ টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করেন।

কিন্তু টাকা দেয়া সম্ভব না বললে একই দিন সুমন তার শ্বাশুড়ি ও নানি শ্বাশুড়িকে বাড়িতে ডেকে নেন। তাদের কাছে দাবি করা হয়। টাকা দিতে পারবে না জানালে তাদের সামনেই স্ত্রীকে মারধর করেন সুমন। মেয়েকে বাঁচাতে গেলে মা ও নানিকে পিটিয়ে আহত করেন সুমনসহ আসামিরা। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য সুমন মিঝির পরিবারের কারো বক্তব্য জানা যায়নি।

জুলাই ১৪, ২০২০ at ১৩:৫৩:১৬ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএকে/এমএআর