নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বারদী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। আহত যুবলীগ নেতাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার দুপুরে শান্তিরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকায় একটি জমি নিয়ে ডাকাত সর্দার হাবিবুর রহমান হাবু, ফারুক মেম্বার, সানু মেম্বার, আমজাদ হোসেন ও সানাউল্লাহ সিন্ডিকেট ও আব্দুল মতিনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে শনিবার সকালে থানায় একটি বিচার শালিস বসে। শালিসে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনসহ ওই এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শালিসী বৈঠকে আব্দুল মতিনের পক্ষে সকল কাগজপত্র সঠিক পায় সালিশকারীরা। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সরেজমিনে তদন্ত করে বিচারের রায় দেবেন বলে বৈঠকে জানানো হয়।
গতকাল রোববার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সরেজমিনে ওই জমি দেখতে যান। ওই জমির মালিক আব্দুল মতিনের পক্ষে যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম কথা বলার কারনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন জমির স্থান ত্যাগ করার পর যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামকে একা পেয়ে ডাকাত সর্দার হাবু ও তার ছেলে আশিক সহযোগী শাহজালাল ও ডালিমসহ ১০-১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছোরা, চাপাতি, চাইনিজ কোড়াল ও লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী মারাত্মক আহত অবস্থায় আমিনুলকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বারদী ইউনিয়ন পরিষদের গোয়ালপাড়া এলাকার সালাহ উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডাকাত সর্দার হাবু ওই এলাকার ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষের জমি দখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হকের প্রভাবে সে ওই এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। ডাকাত সর্দার হাবুর বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, মাদক, অস্ত্রসহ ১৯টি মামলা রয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ডাকাত সর্দার হাবুকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
দেশদর্পণ/আক/দেরু/এমএআর
