চৌগাছা-মাশিলা সড়কের একাধিক স্থান ঝুঁকিপূর্ণ

যশোরের চৌগাছা-মাশিলা সড়কের মশ্মমপুর মোড় সংলগ্নে সড়কের এক পাশ দিয়ে বেশ কিছু স্থানে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঘুর্ণিঝড় আম্পানের সময় ঝড়ের পাশাপাশি মুষলধারে বৃষ্টিতে সড়কের এই ভাঙন বলে জানান স্থানীয়রা। এরপর হতে প্রায় বৃষ্টি হচ্ছে আর বৃদ্ধি পাচ্ছে ভাঙনের পরিধি। ব্যস্ততম এই সড়কের ভাঙ্গা স্থান গুলো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছেন। দ্রুত ভাঙন মেরামত করা না হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন পথচারীসহ এলাকাবাসি।

উপজেলা সদরের পশ্চিম দক্ষিন কোনে মাশিলা বাজার। মশ্মমপুর মোড় হতে বাক নিয়ে একটি সড়ক গেছে মাশিলা অপরটি কাবিলপুর বাজার। ভারত সীমান্তে বাংলাদেশের তিনটি বিওপি ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য এই সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। ক্যাম্প গুলো হচ্ছে মাশিলা, শাহাজাদপুর ও হিজলী বিওপি ক্যাম্প। এ ছাড়া মাশিলা বাজার, কাবিলপুর বাজার, হিজলী বাজার, আড়শিংড়ী পুকুরিয়া বাজারেও এই সড়ক দিয়ে সকলের যেতে হয়। এ ছাড়া বেনাপোল বা শার্শা উপজেলার সাথে যোগাযোগের জন্য চৌগাছা-মাশিলা সড়কের গুরুত্ব সব থেেেক বেশি। তাই এই সড়কটি উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সড়ক বলে অনেকে অভিহীত করেছেন।

এলাকাবাসি জানান, প্রায় দেড় মাস আগে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েন সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছার মানুষ। সে দিনের ঝড়ের বেশ আগে থেকেই শুরু হয় বৃষ্টিপাত যা ঝড়ের পরও অব্যহত থাকে। মুষলধারে বৃষ্টিúাতের কারনে উপজেলার যে সব সড়কের ক্ষতি হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি সড়ক হচ্ছে মাশিলা সড়ক। সড়ক থেকে বৃষ্টির পানি নামার সময় সৃষ্টি হয় ভাঙন। সেই সব ভাঙন যত দিন যাচ্ছে তার পরিধি ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু ভাঙন এলাকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে অনেকে চলাচল করতে হচ্ছে।

পথচারী জুল হোসেন, টিপু সুলতান, শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হওয়ায় এই সড়কটি অত্যান্ত ব্যস্ত সড়ক। সীমান্তে বসবাসকরী অধিকাংশ মানুষ সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। কৃষক তার উৎপাদিত পন্য নিয়ে এই সড়ক দিয়ে চৌগাছা বাজারে পৌছায়। বর্তমানে সড়কের বেশ কিছু স্থানে ভাঙনের ফলে চলাচল দিন দিন ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

ইজিবাইক চালক মশলেম উদ্দিন ও ভ্যান চালক জহর আলী বলেন, করোনার কারনে এখন সন্ধ্যার আগেই মানুষ বাজার থেকে চলে আসেন। তা না হলে গভীর রাত পর্যন্ত এই সড়কে আমরা ভাড়া খাটি। কিন্তু বর্তমানে সড়কের বেশ কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। রাতের বেলায় চলাচল করা বেশ ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির ভাঙ্গা স্থান গুলো দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন পথচারীসহ এলাকাবাসি।

দেশদর্পণ/আক/ভক/এমএআর