যশোরে জুন মাসে ৭ খুন

করোনা সংকটের মধ্যেই যশোর জেলায় জুন মাসে অন্তত সাতটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এসব হত্যাকাণ্ড তিনটিতে আপন ভাই, একটিতে স্বামী জড়িত। বাকি তিনটিতে ইভটিজিং, পরকীয়া, অপহরণের পর মুক্তিপণের দাবিতে খুন করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাঘারপাড়া উপজেলায় তিনটি খুন হয়েছে। সামাজিক ও পারিবারিক অস্থিরতার কারণে এইসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সবকয়টি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। শিগগির চার্জশিট দেবে পুলিশ।

জানা যায়, ৩০ জুন কেশবপুর উপজেলার দোরমুটিয়া গ্রামে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধে ছোট ভাইয়ের হাতে খুন কাওছার আলী মোড় (৫৫)। তিনি ওই গ্রামের মৃত তালেব উল্লাহ মোড়লের ছেলে। একই দিন বাঘারপাড়া উপজেলার ঘোষনগর গ্রামের পারিবারিক বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের হাতে খুন বিপুল হোসেন (৩০) নামে এক যুবক। তিনি ওই গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে। ২৬ জুন সদর উপজেলার দিয়াপাড়া গ্রামে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধে ছোট ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নজরুল ইসলাম নজু কাজী (৫৫) খুন হন।

আরও পড়ুন :
যশোরেই মিলবে করোনায় গুরুতরদের ভেন্টিলেশন সুবিধা
যশোরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু
স্বাধীন বাংলার ফুটবলার লুৎফর মারা গেছেন
তালিকাভুক্ত হয়েও এমপিওভুক্ত হতে পারেনি যশোরের বলরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়

২৮ জুন বাঘারপাড়া উপজেলার হাসপাতাল গেটে এক নারীকে উত্ত্যক্ত করায় রিপন হোসেন (৩০) নামে এক মাইক্রোবাস চালককে ছুরি মেরে হত্যা করে ওই নারীর স্বামী বরকতুল্লাহ। ১৬ জুন বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুরে একটি ইটভাটায় স্বামীর হাতে খুন হন রাজিয়া খাতুন (২৪) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ। সাবেক স্বামীর সঙ্গে কথা বলায় তাকে খুন করে বর্তমান স্বামী শহিদ বিশ্বাস। ৫ জুন চৌগাছা উপজেলার বেড়গোন্দিপুর বাঁওড় সংলগ্ন মুলিখালি বাঁওড় এলাকা থেকে অপহৃত যুবক বিপুল হোসেনের (৩৫) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার ছোট কাকুড়িয়া গ্রামের শামছুল মেম্বারের ছেলে। পরকীয়া প্রেমিকার ছেলে ও জামাই তাকে অপহরণ করে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে লাশ ফেলে দেয়।

৪ জুন অভয়নগর উপজেলার পুড়াখালী বাঁওড় থেকে কলেজছাত্র নুরুজ্জামান বাবুর (১৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি পুড়াখালী গ্রমের ইমরান গাজীর ছেলে ও ধোপাদী এসএস কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে তাকে খুন করা হয়।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আল মামুন বলেন, তিন হত্যাকাণ্ডই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। প্রত্যেকটি খুনের ঘটনা ডিটেক্ট করা হয়েছে। আসামিরা আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। খুব শিগগির চার্জশিট দেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় জুন মাসে হত্যাকাণ্ড খুব বেশি না। এর চেয়ে বেশি খুনের নজির আছে। আমরা প্রত্যেকটি হত্যাকা-ের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও কারণ অনুসন্ধান করতে সক্ষম হয়েছি।

জুলাই ০২, ২০২০ at ১১:৫৯:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/পিকে/এমএআর