যত্রতত্র পশুর হাটের অনুমতি নয়: কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এ জন্য যত্রতত্র পশুর হাটের অনুমতি দেয়া যাবে না। বিষয়টা নিয়ে ভালোভাবে চিন্তা করে কার্যকর গাইডলাইন তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে।

বুধবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজ সরকারি বাসভবনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করলে কোরবানির পশুর হাট স্বাস্থ্য ঝুঁকির ভয়ানক মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আগেই করণীয় নির্ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি মহাসড়ক ও এর আশেপাশে পশুর হাটের অনুমতি দেয়া যাবে না বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন :
ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে জামরুল
চীনে নতুন ফ্লু ভাইরাস শনাক্ত, বিশ্বজুড়ে মহামারির শঙ্কা
চিনি পরিহারে মিলবে আশ্চর্য পাঁচ উপকার!
এই সময় কাঁঠাল খাওয়া কেন জরুরি?

দেশের কয়েটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের ৯টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ে আম্ফানের রেশ না কাটতেই বন্যার পানিতে ডুবে যাচ্ছে বসত বাড়ি, কৃষকের ফসল, মানুষের স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যা কবলিত জেলাগুলোয় ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হচ্ছে। আমাদের আস্থার প্রাচীর,মনোবলের আলোক শিখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বিষয়ে নিবিড়ভাবে মনিটর করছেন।

এ সময় সবাইকে ঐক্য ও সাহসিকতার সঙ্গে এসব দুর্যোগ উত্তরণে কাজ কারার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আহ্বানও জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক।

করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণের বিষয়টি সম্প্রতি আলোচিত হচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এতে অসহায় দরিদ্র মানুষ পরীক্ষা থেকে দুরে থাকবে বলে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে আরো দ্রুতগতিতে। এ সময় তিনি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে ফি নির্ধারণের বিষয়টি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গরীব খেটে খাওয়া মানুষের ফি দেয়ার সামর্থ্য নেই, তারা পরীক্ষার বাইরে থেকে যাবে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

লকডাউন শেষ হওয়া এলাকাগুলোয় ইতিবাচক ফল এসেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, আরো কিছু এলাকায় সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি থাকায় সেসব এলাকায় সরকার লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাময়িক বিচ্ছিন্নতা দীর্ঘ সময় প্রিয়জনের সান্নিধ্য নিশ্চিত করার জন্যই এটা করা হচ্ছে।

জুলাই ০১, ২০২০ at ১৪:৩৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ডিবি/এমএআর