ভারী বর্ষণের কারণে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পানিবন্দি মানুষ শহর রক্ষা বাঁধের উপর অশ্রয় নিচ্ছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে সিরাজগঞ্জে পাঁচটি উপজেলার ৩১টি ইউনিয়নের ২৪৯২৪টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২২টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও চরাঞ্চলের প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার (১ জুলাই) দুপুরে যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৮ এবং কাজিপুরে ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
আরও পড়ুন :
চিনি পরিহারে মিলবে আশ্চর্য পাঁচ উপকার!
এই সময় কাঁঠাল খাওয়া কেন জরুরি?
জেলা পানি উন্নয়ন বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জে ১৪ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরে ৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরে যমুনার পানি স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছে বন্যা পুর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, বন্যায় পাঁচটি উপজেলার ৩১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২শ ১৬টি গ্রামের ২৪ হাজার ৯শ ২৪টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২শ ৮০টি ঘর-বাড়ি আংশিক, ২২টি
শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তা ও বাঁধ এবং প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে ১২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারণে নদীবেষ্টিত জেলার সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ২৫২০ হেক্টর জমির পাট ও তিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি না কমলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে।
জুলাই ০১, ২০২০ at ১৩:২৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এআর/এমএআর