দেশ প্রতিবেদক, গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়ছে মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় রোববার দুপুর ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৫৯ সে.মি. ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জেলায় ৪টি উপজেলার সুন্দরগঞ্জের ৭টি ইউনিয়ন, গাইবান্ধা সদরের ৩টি, ফুলছড়ির ৬টি ও সাঘাটার ৩টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। কোথাও কোথাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। এদিকে গাইবান্ধা-বালাসীঘাট পাকা সড়কটির আধা কিলোমিটার এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সড়কের উপর দিয়ে এখন নৌকা চলাচল করছে।
বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জের তারাপুর, বেলকা, কঞ্চিপাড়া, হরিপুর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও চন্ডিপুর, সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর ও গিদারী, ফুলছড়ির এরেন্ডবাড়ি, ফজলুপুর, গজারিয়া, উড়িয়া ও উদাখালী এবং সাঘাটার ভরতখালী, ঘুড়িদহ ও হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় ওইসব বন্যা কবলিত মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অথবা উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।
এদিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে ৪টি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।