যশোরে কঠোর লকডাউন কার্যকরের সিদ্ধান্ত

যশোরের রেড জোন এলাকায় কঠোর লকডাউন কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সাথে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সার্কিট হাউজে জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফের সভাপতিত্বে জরুরিসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা যায়, যশোরের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার ওয়ার্ড ও ইউনিয়নকে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেসব এলাকায় নজরদারি ও জনসচেতনতার অভাবে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালন করা হচ্ছে না। বাস্তবে সেসব এলাকার চিত্র অন্যসময়ের মতো স্বাভাবিক। এসব কথা মাথায় রেখেই মঙ্গলবার জরুরিসভায় কঠোর লকডাউন কার্যকরের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি।

আরও পড়ুন :
ঠাণ্ডা বা ফ্লু থেকে নিস্তার মিলবে এক কোয়া রসুনেই!
মধ্যরাতে আচমকা মাটির নিচে ঢুকে গেল ৫ বাড়ি
শিশুর করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ যা করবেন
কৃমির যন্ত্রণায় ভুগছেন? সহজেই মুক্তি মিলবে আট ঘরোয়া উপায়ে
মাস্ক না ফেস শিল্ড, করোনা প্রতিরোধে কোনটি কার্যকর?

নতুন সিদ্ধান্তে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থান অনুযায়ী ওইসব এলাকায় কঠোর লকডাউন কার্যকর করা, দরিদ্রদের সহায়তা করা, জনসচেতনতার তৈরি করা, করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেড ও কেবিনের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়েছে।

জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, যশোর জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য গ্রিন ড্রিম লিমিটেড (জিডিএল) নামের বেসরকারি হাসপাতালটি ব্যবহার করা হবে। বক্ষ্যব্যাধি হাসপাতালে জরুরি কিছু সংস্কার কাজ রয়েছে। সেজন্য সেখানকার রোগীদের জিডিএল হাসপাতালে নেয়া হবে। তাছাড়াও ইবনে সিনা হাসপাতালে ৫টি কেবিন বরাদ্দ নেওয়ার জন্য মালিকপক্ষের সাথে কথা বলা হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবেন। তাছাড়াও লকডাউন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি মনিটরিং টিম গঠন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এসব কার্যক্রমে সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এইসব সিদ্ধান্তসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, মনিটরিং টিমটি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি অফিসে বসে দায়িত্ব পালন করবেন। টিমে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, একজন চিকিৎসক, একজন পৌরসভার কর্মকর্তা, গণমাধ্যম প্রতিনিধি রয়েছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি কাজ করবে। কয়টা বাড়ি লকডাউন করা হবে, কিভাবে তা চলবে, সেই সিদ্ধান্ত ওই টিমের পক্ষ থেকে নেয়া হবে। লকডাউন কার্যকর হওয়া এলাকায় বসবাসরত দরিদ্রদের পৌরসভার পক্ষ থেকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে। জেলার অন্যান্য এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এইসব কাজ করবেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত সেনা তৎপরতায় যশোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল নিয়ামুল, যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।

জুন ২৪, ২০২০ at ১০:৩৯:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/পিকে/এমএআর