১৭ লাখ টাকা দিতে না পারায় যবিপ্রবিতে চাকরি হল না মুনজুরুরের!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সিন্ডিকেটের দাবিকৃত ১৭ লাখ টাকা না দিতে পারায় পিএ পদে চাকরি হলেও যোগদান করতে পারেননি মুনজুরুর রহমান নামে এক যুবক। আজ সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন তিনি।

এর আগে যশোর সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন মুনজুরুর। ভুক্তভোগী যুবক যশোর সদর উপজেলার বানিয়ালী গ্রামের অলিয়ার রহমানের ছেলে।

তার অভিযোগ, ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট তিনি পিএ পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরে যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ ফোন করে তাকে ওই বছর ৮ সেপ্টম্বও যোগদান করতে বলেন। কিন্তু নির্ধারিত দিনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে তাকে সিস্টেম অনুযায়ী আসার কথা বলা হয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন তৎকালীন পিএস এটিএম কামরুল হাসানের সাথে কথা বললে তার কাছে ১৭ লাখ টাকা চাওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এবিষয়ে কথা বলতে আমি বেশ কয়েকদিন ভিসির সাথে দেখা করতে যাই। কিন্তু আমাকে একবারও তার সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়নি। সর্বশেষের দিন ভিসির রুম থেকে ফিরে তার পিএস বলেদেন ‘স্যার তোমাকে ঘাড় ধরে বের করে দিতে বলেছেন।’

মুনজুরুর রহমানের দাবি, কোন ধরনের যোগাযোগ ও তদবির ছাড়াই সম্পূর্ণ মেধায় তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এজন্য তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করি। এরপর তাকে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোন করে টাকা দিয়ে যোগদান করতে বলা হয়। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ চারদিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা দিয়ে যোগদান করতে বলেছেন। কিন্তু এতো টাকা দেয়ার সমর্থ তার নেই। এজন্য তাকে চাকরিতে যোগদান করতে দেয়া হয়নি।