কারাগারে এমপি নাসিরের ’কথিত এপিএস’ রাজু

যশোরের ঝিকরগাছার নাশকতা ও বিস্ফোরকের ৯ মামলার ওয়ারেন্টভ্ক্তু আসামি এবং আলোচিত রাজিব হাসান রাজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে যশোর-বেনাপোল সড়কের লাউজানি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার লক্ষীপুর লাউজানি গ্রামের আহসান আলীর ছেলে। রাজু এক সময় শিবিরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

ঝিকরগাছা থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ৯টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি রাজিব হাসান রাজুকে রোববার সকাল ৯টার দিকে লাউজানি এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এদিকে, আদালত থেকে ঝিকরগাছা জিআর ২১৯/১৩ রাজুর জামিন হয়েছে। এ মামলায় অভিযোগে জানাগেছে ২০১৩ সালে ১০ ডিসেম্বর হরতাল চলাকালে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ বিকেলে লাউজানি রেলক্রসিংয়ে পৌঁছালে হরতাল সমর্থকরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট, বোমা নিক্ষেপ করে পুলিশ সদস্যদের আহত ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এ মামলায় রাজুকে দুই নম্বর আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন :
কর্মীদের খোঁজও নেয় না যশোর বিএনপি
শিশুর করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ যা করবেন
কৃমির যন্ত্রণায় ভুগছেন? সহজেই মুক্তি মিলবে আট ঘরোয়া উপায়ে
মাস্ক না ফেস শিল্ড, করোনা প্রতিরোধে কোনটি কার্যকর?

সরকারি কাজে বাধাদানের মামলাটি বিচারের জন্য সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বদলী করা হয়। এ মামলায় রাজু হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারিা করা হয়। এ গ্রেফতারি পরোয়ানায় তাকে আটক করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালালতে সোপর্দ করা হয়। এ মামলায় তার জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতে বিচারাধীন এসটিসি ৪১৬/১৮, এসটিসি ৫১২/১৮, এসটিসি ৪১২/১৮, এসটিসি ৪১৭/১৮, এসটিসি ৫১১/১৫, এসটিসি ১১৭/১৮, ৪০৬/১৮ ও এসটিসি ৩৪/১৮ মামলা বিচারধীন রয়েছে। এ সব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আগেই জারি ছিল। এসব মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানায় রাজুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাজিব হাসান রাজু ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা। সম্প্রতি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গাঁ ভাসান। স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডাক্তার নাসির উদ্দীনের এপিএস পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের নামে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলীর জন্য এমপির নাম ভাঙিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও আছে।

এ প্রসঙ্গে এমপি ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, আমার কোন এপিএস নেই। সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত পিএ এহসানুল হক। এমপিদের এপিএস থাকার সুযোগ নেই। আমাদের কাছে (এমপি) নানা কাজে অনেকেই আসে। কেউ কেউ নাম ভাঙাতে পারে। এমন কারো বিষয়ে অভিযোগ পেলে ওসিকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তার সঙ্গে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

জুন ২২, ২০২০ at ১২:০৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/পিকে/এমএআর