মহেশ ভাট থেকে সুশান্ত, রহস্যময়ী রিয়া!

সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই ভেসে আসছে রিয়া চক্রবর্তীর নাম। মহেশ ভাট নাকি সুশান্ত কোন নৌকায় রিয়া? এ নিয়ে রয়েছে বহু গুঞ্জন। সুশান্তের মৃত্যুতে ঝড় বয়ে চলছে বলিউডে।

রিয়ার বুকের কাছে মহেশের মাথা, চোখ বন্ধ। মুখে মিষ্টি হাসি, দুজনেরই। ক্যাপশনে লেখা, “শুভ জন্মদিন মাই বুডঢা। তুমি আমায় ভালবাসায় জড়িয়েছ, ভালবাসা কী তা তুমিই শিখিয়েছ… সারাজীবনের জন্য আমার বন্ধ হয়ে যাওয়া পাখা মেলতে শিখেছি তোমারই কারণে। তুমি সেই আগুন যে আগুন প্রতিটি আত্মাকে উদ্দীপ্ত করে। আই লাভ ইউ”। ৭০ বছরের মহেশের জন্য ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ইনস্টাগ্রামে এ রকমই একটি পোস্ট করেন ২৬ বছর বয়সের রিয়া।

আরও পড়ুন :
মৃত্যুর আগে বান্ধবীর সঙ্গে ঝামেলা ছিল সুশান্তর
চার ফোন কল ভাবাচ্ছে পুলিশকে

চোখে আতসকাচ লাগিয়ে রাখা পাপারাৎজির নজর এড়ায়নি এই পোস্ট। শুরু হয় গুঞ্জন। পোস্টে কমেন্ট আসতে থাকে, “তোমরা কী সম্পর্কে রয়েছ?” রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায় তাঁদের সেই ছবি। সবাই ধরেই নেয় মহেশের জীবনে নতুন বসন্ত এই বাঙালি মেয়ে। রিয়া আর মহেশ কন্যা আলিয়া প্রায় একই বয়সী হওয়ায় ওঠে সমালোচনার ঝড়। যদিও পরে সেই পোস্টের আর হদিশ মেলেনি।

এর ঠিক দু’দিন পর ২২ সেপ্টেম্বরের মহেশের সঙ্গে আরো একটি পোস্ট করেন রিয়া। রিয়ার এই পোস্টে যেন নড়ে যায় বলিউড। কিশোর কুমারের লিপে ‘অমর প্রেম’ ছবির সেই বিখ্যাত গানের কয়েকটি লাইন, “তু কউন হ্যয়, তেরা নাম হ্যয় কেয়া… সীতা ভি ইহা বদনাম হুয়ি …।” সঙ্গে লেখা, “দূষিত হৃদয় থেকে আসা ট্রোল যদি নোংরামো তে পরিপূর্ণ হয় তবে আমাদের অন্ধকার যুগ থেকে বেরিয়ে আসার যাবতীয় দাবি মিথ্যে।”

সেই সময় মিডিয়ায় মুখ খোলেন রিয়া। প্রেমের গুঞ্জনে রিয়া প্রতিক্রিয়া ছিল- “ছি! এই মানসিকতা! উনি আমার বাবার মতো”। এর এক মাস পরেই অক্টোবরে রিয়ার একটি ছবি মুক্তি পায়, নাম ‘জলেবি’। প্রযোজক মুকেশ ভাট এবং চিত্রনাট্যকার মহেশ ভাট। রিয়া আর মহেশের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে বলিপাড়ার অনেকেই তখন মুখ টিপে বলেছিল, “এ সব পাবলিসিটি সটান্ট’।

আরও পড়ুন :
করোনা আতঙ্কে জনপ্রিয় মায়েদের সিরিয়াল ত্যাগের হিড়িক
বয়স লুকিয়ে সুস্মিতার সঙ্গে প্রেম

ঘটন-অঘটনের পর রিয়ার জীবনে আগমন হয় সুশান্তের। কিন্তু গত তিন ধরে লেখিকা সুর্হিতা সেনগুপ্তর এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকার আচমকাই সামনে নিয়ে এসেছে বেশ কয়েকটি গোপন তথ্য। লেখিকা বলেছেন, ‘সড়ক 2’তে অভিনয় করতে চাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে সুশান্ত ছুটে গিয়েছিলেন মহেশ ভট্টর কাছে। তাঁর মানসিক অস্থিরতা দেখে মহেশ ভট্ট নাকি বলেই ফেলেছিলেন, এ তো আর এক পরভিন ববি।

তখন রিয়াকে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছিলেন ‘ভাটসাব’। রিয়া তাও হাল ছাড়েননি। মহেশ বলেছিলেন, এই সম্পর্কে থাকলে রিয়া পাগল হয়ে যাবেন খুব শীঘ্রই। এর পরেই নাকি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন রিয়া।

ভট্ট পরিবারের আর এক সন্তান আলিয়া ভাট সুশান্তকে চিনতেও পারেননি। তাই কর্ণ জোহর যখন একটি প্রশ্নে আরও দুই তারকার সঙ্গে সুশান্তের নাম জুড়ে দেন, তখন তাচ্ছিল্যের সঙ্গে আলিয়া বলে ওঠেন, “সুশান্ত! সেটা কে?”

জুন ১৮, ২০২০ at ১১:৪৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভক/এমএআর