সূবর্নচরে ভূমিদস্যু আলাউদ্দিন কালু‘র লাঠিয়াল বাহিনীর তান্ডব থামছেইনা

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ৪নং চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ভূমিদস্যু এবং নামকরা সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন কালু(কালু মেম্বার),তার ভাই সেলিম(ওরফে সেলিম ভান্ডারী) ও তার লাঠিয়াল বাহিনীসহ সশস্ত্র ভাবে তার বাড়ির পাশে প্রতিবেশী মাওলানা মহিবউল্যার জমি দখলের উদ্দেশ্যে গেলে মহিবউল্যার ছেলে মামুনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।

এতে তৎক্ষনাৎ দূপুর ১টার দিকে আলাউদ্দিন কালু, তার ভাই সেলিম ভান্ডারী তাদের লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে। এসময় মহিবউল্যার মেজো ছেলে মোঃ মামুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার মাথা অনেকাংশ ফেটে যায় ও গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিতেও বাধা দেয় আলাউদ্দিন কালু। এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মুক্তার মেম্বার ও এলাকার লোকজন মিলিত হয়ে মামুনকে চিকিৎসার জন্য পাঠায় এবং তাৎক্ষণিক চর জব্বার থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে দ্রুত নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করেন।

আরও পড়ুন:
কোটচাঁদপুরে পৌর কাউন্সিলর রেজাউল পাঠান গ্রেফতার
যশোরে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী অপহরণ থানায় অভিযোগ
আবাসিক হোটেলে অভিযান: নারীসহ আটক ৩

এর আগেও আলাউদ্দিন কালু,তার সশস্ত্র লাঠিয়াল বাহিনীসহ এলাকার বিভিন্ন নিরীহ ও অসহায় মানুষের জমি দখল করে নেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে । এদের এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চর জব্বর থানায় এবং নোয়াখালী জর্জ কোর্টে একাধিক মামলা রয়েছে ।এছাড়াও তার ভাই ভান্ডারী সেলিম প্রতিরাতে তার বাড়িতে দীর্ঘদিন থেকে মদ,জুয়া, মাদকের আড্ডা বসিয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছে।

চর জব্বার থানার ইন্সপেক্টর ইব্রাহিম ( তদন্ত) বলেন – ভুক্তভোগী মোঃ মামুনের বাবা মহিবউল্যা গতকাল থানায় এসেছিলেন। তিনি চর জব্বার থানার ওসি শাহেদ উদ্দিন চৌধুরীর সাথে কথা বলেন। তবে ভুক্তভোগী এখনই কোন মামলা করেননি। তিনি জানান, আগে তার ছেলে ( মামুন) এর চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। তার ছেলে সুস্থ হলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিবেন। ইন্সপেক্টর ইব্রাহিম (তদন্ত) বলেন- ভুক্তভোগী মামলা করতে চাইলে মামলা নেয়া হবে ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জুন ১৫, ২০২০ at ২৩:১৭:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমআর/তআ