জ্যৈষ্ঠের তাপপ্রবাহে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে পদ্মা পাড়ের রাজশাহী

রাজশাহীর প্রকৃতি যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। ভ্যাপসা গরস আর বৃষ্টিহীনতার কারণেই তাপপ্রবাহের এই গরম অনুভূত হয়েছে। আগুন ঝরা আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ত্রাহি-ত্রাহি অবস্থা দেখা দিয়েছে। গরমে হাঁসফাঁস করছে পশু-পাখি। একটু শীতল পরশের জন্য ব্যকুল হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ ও পশু-পাখি।

যতদিন গড়াচ্ছে তাপমাত্রা ততই যেন বাড়ছে। দিন-রাত গোমট গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে সবার। বৃষ্টির জন্য মানুষের মধ্যে যেনো হাহাকার পড়ে গেছে। সূর্য দহনে শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর মধ্যে বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হচ্ছে। তীব্র রোদে পুড়ছে বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি।

বৈশাখ শেষে লাফিয়ে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। গত চারদিন থেকে রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মানুষজন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘনঘন লোডশেডিং।

এর ওপর চলছে ভয়াবহ করোনাকাল। করোনা পরিস্থিতিতেও অতি দরিদ্র মানুষ লকাউনের মধ্যে রাস্তায় বের হচ্ছেন। তারা শিকার হচ্ছেন এ তাপপ্রবাহের। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাপ মাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে না। রাতে বাতাস না থাকায় ভ্যাপসা গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ-প্রকৃতি।

আবহাওয়া অফিস জানায়, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে তীব্র তাপদাহ হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতর থাকলে তাকে বলা হয় মৃদু তাপদাহ। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির ভেতর তাপমাত্রা থাকলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপদাহ। ফলে গত শনিবার থেকে রাজশাহীতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক শূণ্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। গত এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে তাপমাত্রা ছিলো ৩৯ দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস। যাহা গত মাসের সর্বচ্চো তাপমাত্রা।

রাজশাহীতে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা হলেও সেটি ৪০ ডিগ্রির ওপরে অনুভূত হচ্ছে। আরও কিছুদিন এ তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাত ছাড়া তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নাই বলেও জানান এ কর্মকর্তা।