২৪ ঘণ্টাই জ্বলছে চিতা, শেষ হচ্ছে না লাশ

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে ভারতে। প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হয়েছে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষ। এতে দিল্লিতে দিনরাত চিতায় আগুন জ্বালিয়ে রেখেও শেষ করা যাচ্ছে না লাশের স্তূপ। রাজ্যটিতে এ পর্যন্ত ৭০৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

প্রথতে শুধু বৈদ্যুতিক চুল্লিতে লাশ পোড়ানো হতো তবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় কাঠের চুল্লিতে বন্ধ ছিল সৎকারের কাজ। তবে এখন লাশের স্তূপ জমে যাওয়ায় কাঠের এবং বৈদ্যুতিক চুল্লিতে ২৪ ঘণ্টা আগুন জ্বালিয়ে রেখেও লাশ শেষ করেতে পাছেন না শ্মশানকর্মীরা।

শহরের প্রাণকেন্দ্র লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকাতেই যেহেতু অবস্থিত ভাইরাস প্রতিরোধক শ্মশান ঘাটটি, বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গ থেকে সেখানেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃতদেহ আসে। এমন পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টা শ্মশান খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে কাঠের চিতাতেও করোনায় মৃতদের তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও সব দেহ সৎকার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
মার্কিন সংবাদিক রিচি‘কে প্রেসিডেন্ট হাউজেই ধর্ষণের অভিযোগ
ছেলের সামনে বন্ধুদের দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করালো স্বামী
সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ডাক্তার সেলিম ফেন্সিডিলসহ আটক

শ্মশান ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সুমনকুমার গুপ্ত জানান, মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানে ঢোকার মুখে মৃতের পরিবারের সকলকে জীবাণুমুক্তকরার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সামাজিক দূরত্ব মেনে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে অনেকটা সময়ও লেগে যায়। তার জন্য উদ্বেগ নিয়েই ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্মশানে অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। কিন্তু এ ছাড়া অন্য উপায় নেই বলে জানান তিনি।

শ্মশানে কর্মরত সঞ্জয় শর্মা নামের এক শ্মশানকর্মী জানান, এই সঙ্কটের সময়ও মৃতদেহগুলিকে যাতে সম্মানের সঙ্গে দাহ করা যায়, সেদিকে নজর রাখেন তাঁরা। তবে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর।

জুন ০৬, ২০২০ at ২০:৫৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বিকে/তআ