অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে  ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় সীমানা লংঘন করে অবৈধভাবে ইজারাদারের লোকজন নদী থেকে জোরপূর্বকভাবে বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসন ইজারাদারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করার পরও বালু উত্তোলন বন্ধ না হওয়ায় বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে অবশেষে গতকাল জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করে প্রতিকার চেয়েছে এলাকাবাসি।
জানা গেছে, নবীনগরের সীসান্তবর্তী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাবু এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রায় অর্ধ কোটি টাকায় নবীনগর-নরসিংদী-ভৈরব নৌপথের হোসেননগর মৌজার (২০১০ দাগে) সওদাগরকান্দি এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের ইজারা পায়।
কিন্তু অভিযোগ পাওয়া যায়, ইজারাদারের লোকজন নদীর সীমানা লংঘন করে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার নবীনগর উপজেলার অভ্যন্তরে ঢুকে জোরপূর্বকভাবে বালু উত্তোলন করছেন। এতে নবীনগরের লাপাং মৌজার চরলাপাং, দড়ি লাপাং ও চিত্রি গ্রামের ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার পাশাপাশি ওইসব গ্রামের নদী তীরবর্তী দুই শতাধিক বাড়ি ঘরও নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় গত ১৮ মে নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুমের নির্দেশে স্থানীয় এসি ল্যান্ড ইকবাল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ইজারা পাওয়া বাবু এন্টারপ্রাইজকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু এরপরও নবীনগরের অংশে থাকা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হওয়ায়, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসি এর প্রতিকার চেয়ে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
এ বিষয়ে আবেদনকারী দড়ি লাপং গ্রামের অধিবাসি, স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর আলম বলেন, ‘১লাখ টাকা জরিমানা হওয়ার পরও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না বিধা আমরা নিরূপায় হয়ে ডিসি স্যারের কাছে এর প্রতিকার চেয়েছি।’
তবে বাবু  এন্টারপ্রাইজের মালিক ইজারাদার আসাদুজ্জামান বাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নিয়ম মেনেই আমার লোকজন বালু তুলছে। মূলত: যারা আমার কাছে নানা সুযোগ সুবিধা চেয়ে পাচ্ছেন না, তারাই এসব ষড়যন্ত্র করছেন। জনগণের ক্ষতি আমি করবোনা।’
নবীনগরের ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসে আজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দুই উপজেলার মধ্যে নদীর সীমানা বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি এমপি স্যারসহ উর্ধতন কর্মকর্তাগণও অবগত হয়েছেন। আশা করছি, শিগগীরই এর প্রতিকার হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের সঙ্গে আজ একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।