নড়াইলে বিয়ের চার মাসের মাথায় নববধূকে নির্যাতনের পর গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শ্বশুর বাড়ি থেকে বিথী খানমের (১৯) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর স্বামী আব্দুল মোমেনকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত বিথী নড়াইল পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাগবাড়ি-রঘুনাথপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের মেয়ে এবং যশোর এমএম কলেজের অনার্সের ছাত্রী ছিলেন।
বুধবার (২৭ মে) সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিথীর চাচা মো. খালিদ হাসান জানান, চার মাস আগে বিথী-মোমেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পারিবারিক কলহের জের ধরে বিথীকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিথী গত দুই মাস আগে বাবার বাড়ি চলে আসে। গত দুই দিন আগে বিথীর স্বামীর বাড়ি যাওয়া নিয়ে সালিশ হয়। মোমেন ও তার পরিবার বিথীর ওপর নির্যাতন করবে না বলে মৌখিকভাবে অঙ্গীকার দিলে বিথীকে স্বামীর বাড়ি পাঠানো হয়। এরপরই এই ঘটনা ঘটে। পুলিশে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতার মর্গে পাঠায়।
নড়াইল সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, বিথীর মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী মোমেনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।