করোনার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাত,লন্ডভন্ড চৌগাছা

করোনা ভাইরাসের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে যশোরের চৌগাছা উপজেলা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।ক্ষেতের ফসল,ঘর-বাড়ি,দোকান,অফিস,স্কুল-কলেজ,গাছপালা ঝড়ে নষ্ঠ হয়ে গেছে,এমনকি সবই এখন অচেনা হয়েছে গেছে।এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎ এর খুটির উপর পড়ে তার ছিড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে গেছে।একই সাথে বন্ধ হয়ে রয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা।এরই মধ্যে অনেক অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ সেবা চালু করা হলেও এখনও ডিস লাইন ঠিক করা হয়নি।বিদ্যুৎ সরবারহ ঠিক হয়ে গেলেই ডিস লাইন প্রদান করা হবে বলে জানান ডিস লাইন কতৃপক্ষ।

গত বুধবার রাত্রে ঘূর্ণিঝড় আম্পান চৌগাছা উপজেলায় কম বেশি ১১টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভায় ব্যাপক আঘাত আনে,ফলে উপজেলার কয়েকশত বিঘা কলার বাগান,আমের বাগান,লিচু বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়।একই সাথে চলতি মৌসুমের পটল,বাদাম,ঝাল,তিল,ড্রাগণ,শসা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়।একই সাথে ডুবে যায় পুকুর ও মাছের ঘের।ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপজেলার হাজার হাজার মানুষ।

কথা হয় নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খানপুর গ্রামের কলা চাষি আনিসুর রহমানের সাথে।তিনি বলেন ঝড়ে আমার ২৫ কাটা কলা গাছ একেবারে শেষ হয়ে গেছে।ক্ষতি গ্রস্থ সব গুলো গাছের কলা কাটার মত হয়ে গিয়েছিল,বেশ কয়েক খানা কলা ইতি মধ্যে বিক্রয়ও করেছি।ঝড়ে আমার প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।হাকিমপুর গ্রামের আম চাষি আতিয়ার রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে এই বছর আমার দুই বিঘা আমের বাগার একে বারে শেষে হয়ে গেছে,এখন দুই বিঘা বাগান কুড়ালেও এক মণ আম পাওয়া যাবেনা

আরো পড়ুন:
রাণীশংকৈলে ১ মাদ্রাসার শিক্ষক নতুুন করে করোনায় শনাক্ত
সাদুল্লাপুর-ঢোলভাঙ্গা সড়কে ব্রীজ ভেঙে যাওয়ায় পারাপারে ভোগান্তি
জয়পুরহাটে আশ্রয়ন প্রকল্পে যাওয়ার রাস্তার বেহাল অবস্থা

ধুলিয়ানী ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের মাস্টার আব্দুল আলীম বলেন,উপজেলার সব থেকে বেশি পানের বরজ আমাদের ইউনিয়নের।অসময়ের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পানের বরজ সব নষ্ঠ হয়ে গেছে।তিনি আরো বলেন প্রতি বিঘা পানের বরজে কৃষকের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে,যাহা সামলাতে কৃষকের কয়েক বছর সময় লাকবে বলে মনে করছেন উপজেলার পান চাষীরা। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কয়ারপাড়া গ্রামের ৭৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ আতিয়ার বিশ^াস বলেন,আমার বয়সে এমন ঝড় আমি আগে কোন দিন দেখিনি।

এ ছাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে,সব থেকে বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে উপজেলার চাঁদপাড়া জিসিবি আদর্শ কলেজ।ঝড়ে প্রতিষ্ঠানটি একে বারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার কম বেশি বেশ কয়েটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রসার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

মে ২৯, ২০২০ at ১৭:৫৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআই/আরএইচ