প্রজাপুঁজ সম্রাটদের ঘাড়ে ঘুমিয়ে ঘটালেন সাম্রাজ্যের পতন !

ঋষি বানর‘কে খুব ভালোবাসতেন। নিয়মিত খাবার দাবার তো দিতেন ই। অভাবের সময় বানরের পছন্দ অনুযায়ী সুন্দর সুন্দর কলা জোগাড় করে খেতে দিতেন। শর্ত ছিল ঘাড়ে বসে থাকা লাগবে লাফালাফি করা যাবে না। এটাই কাল হয়ে গেল। লাফালাফির পরিবর্তে বানর ঘাড়ের ঘুমিয়ে থাকার কূটকৌশল নিল।

ঋষি চিন্তাও করেনি এত সাধের পোষা বানর লাফালাফি করতে না পেরে তার নিজের ঘাড়েই ঘুমিয়ে থাকবে! বেজি কে পরাস্ত করার জন্য হাজার ডেকেও কথা শোনাতে পারলেন না। অধিক দামি কলার যোগান দিতে গিয়ে ঋষিকোষ প্রায় শূন্য!

অনেক তপস্যা র সন্তান লালমিয়া কে ঘাড়ে নিয়ে মনদ্বীপ রাজা মৌবনে মধু খাওয়াতে নিয়ে গেলেন। আগের সন্তান পিঠে ,তার আগের সন্তান কোমরে করে নিয়েছিলেন বলে মৌমাছির দংশনে মৃত্যু। লালমিয়া মাথা ধরে ঘাড়ে শান্তি র ঘুম। ঘাড়ে র উপর উঁচু দেখে মৌমাছি স্বদল বলে লালমিয়া কে তো দংশন করলোই। হুল ফুটিয়ে রাজা মনদ্বীপ জীবাত্মা ত্রাহি ত্রাহি। তবুও প্রজাবৎস লালমিয়া র ঘুম ভাংগেনি।

পৃথিবীর সবদেশেই ঘাড়ে ঘুমানো প্রজা আজে।তারা রাষ্ট্রের কথা শোনে না।তাদের ঘুম ভাংগে না।বর্তমান বিশ্বের সব দেশের রাজা বাদশাগন গনঅধিবাসী দের করোনা হতে বাঁচানোর জন্য শতভাগ চেষ্টা করছে।কিছু কিছু রাষ্ট্র কর্তা তো কেঁদে চোখের পানিতে জার জার। আমাদের দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (মাদার অব হিউম্যানিটি) বাড়ী বাজার ও মোবাইলে টাকা পৌছিয়ে দিয়েছেন।

তবুও কিন্তু লালমিয়া দের ঘুম ভাংগেনি। শুধু কলার ব্যয় বাড়ছে। এরা সংখ্যায় কিন্তু কম। করোনা কিন্তু সংখ্যায় একটি ই ছিল । কৌশলে ঘাড়ে ঘুমাতে যেয়ে তারা যেমন মরছে, সাথে সাথে সবার মরন ফাঁদ তৈরি করছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে লক ডাউন করছে। সেটা রক্ষা করতে পুলিশ, ডাক্তার, জজ, ব্যারিস্টার, বিগ্রেডিয়ার, ডিসি, এসপি‘দের শ্বাসতন্ত্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর লালমিয়ারা ঘাড়ে ঘুম আর অদম বুস কদমের ছালা হয়ে দিনে দিনে সভ্যতা থেকে বিদায় নিচ্ছে আর একটি রশি দিয়ে সবাই কে টানছে।

এদের কারনে সারা পৃথিবীতে দংশিত সংখ্যায় 50 লাখ । এর পরপারে ৩ লাখের বেশি। প্রতিদিন এক লাখ করে হলে ৫০০ কোটি মানুষের সাম্রাজ্য দংশন করতে কত সময় লাগবে আর । সাথে লাল মিয়া থাকলে জ্যামিতিক বৃদ্ধি তো অপেক্ষা করছে।

তাই সভ্যতা বাঁচাতে আমাদের সবাই কে ঘুম ভাংগতে হবে। জেগে ঘুমালে তাকে সচেতন করা যাবে না। প্রয়োজনে জেগে ঘুমানোর জায়গা নষ্ট করে দিতে হবে।

লেখক :
মোঃ ইমাউল হক, পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক নিরস্ত্র
ইন্টেলিজেন্স এন্ড মিডিয়া সেল, ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন
কক্সবাজার।