ঠাকুরগাঁওয়ে পাট উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহ নেই, শাক হিসেবে কদর বেশি !

সোনালী আঁশ খ্যাত পাট উৎপাদনে ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদের মাঝে তেমন কোন আগ্রহ নেই। তবে অধিক পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বাজার এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাটের শাক হিসেবে ব্যাপক হারে আবাদ করছেন কৃষকরা। ফলে বাজারে বিক্রি করে অধিক মুনাফা অর্জন করছে তারা।

আরো পড়ুন :
লালপুরে আম্পানের তান্ডবে আম, লিচুসহ কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি
আম্পানের আঘাতে কাজিপুরে গাছ চাপায় নিহত ১
২০ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ পেয়েছে যশোরের মানুষ : ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি : নিহত ৩

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট গ্রামের কৃষক বরকত আলী জানান, পাট উৎপাদন করলে বিক্রি করতে পারি না। বাজারে পাটের চাহিদা নাই ফলে আমাদের পাট চাষে আগ্রহ নেই। তবে পাটের শাক হিসেবে বাজারে চাহিদা অনেক বেশি। ৪০ দিনের মধ্যে ফসল উৎপাদন করে তা বিক্রি করা সম্ভব। এক বিঘা জমি থেকে পাট শাক চাষ করে ৪০ দিনে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় হয়। বছরে অন্তত ৫বার পাট শাক চাষ করা যায়। তিনি সাংবাদিককে জানান, এবার ১ বিঘা জমিতে পাটশাক উৎপাদন করে ১০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।

তথ্য প্রযুক্তির আদলে পাটজাত সামগ্রীক পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে জঠিলতা থাকায় পাট উৎপাদনে কৃষকের মাঝে তেমন আগ্রহ নাই। ফলে ঠাকুরগাঁও থেকে পাট জাত ফসল বিলুপ্তি হতে যাচ্ছে।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানা যায়, পাট চাষের উপযোগী হিসেবে উর্বরশীল মাটি ঠাকুরগাঁও । কিন্তু আধুনিক সময়ে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন প্লাষ্টিক সামগ্রীক উৎকর্ষণ হয়েছে ফলে প্রাচীন পদ্ধতি ব্যবহারে কেউ ইচ্ছুক না, ফলে দিন দিন পাট জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে।

পাট চাষে মাটি উর্বরতা অতি মাত্রয় বৃদ্ধি পায় তাই পাট চাষে কৃষকদেরকে উদ্ভোদ্ধ করা হচ্ছে। তাছাড়া দেশের খ্যাতিমান ফসল পাটের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য প্রক্রিয়াও চলছে। পাটের সোনালী দিন আবারও ফিরে আসবে এমন সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করেণ কৃষি বিভাগের কমকর্তগণ।

মে ২১, ২০২০ at ১৭:৪১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এএ/এএডি