আমফানের আঘাতে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মৃত্যু ৫

বাংলাদেশ অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। এতে এরই মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে দুজন পটুয়াখালীর, দুজন ভোলার এবং একজন সন্দীপের।

এদিকে সাতক্ষীরা, মোংলা, হাতিয়ার চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস। বাগেরহাটের শরণখোলায় দুই কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। আমফানের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। সাতক্ষীরায় প্রচণ্ড দমকা হাওয়ার সঙ্গে অশান্ত নদীগুলো। স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ থেকে ৭ ফুট বেড়েছে নদীর পানি।

হুহু করে পানি বাড়ায় সাথে সাথে প্লাবিত হতে থাকে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল। মুহূর্তেই জেলার ১৭টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। খুলনা উপকূলে দিনভর ভারী বৃষ্টি সেইসঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড় আমফান উপকূলের কাছাকাছি আসার সাথে সাথে বাড়তে থাকে তাণ্ডব। কোথাও কোথাও ৭ থেকে ৮ ফুট উঁচুতে জলোচ্ছ্বাস হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভোলায় টানা ধমকা হাওয়া বইছে। বড় বড় ঢেউ আছরে পড়ে নদীর তীরে। জোয়ারের পানি বেড়ে ২০টি চর প্লাবিত হওয়ায় ২৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সন্ধ্যার পরে বরিশালে ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকে বাতাস। ঘূর্ণিঝড় থেকে বাচতে নিরাপদ আশ্রয় নেন এলাকাবাসী। এসময় বিদ্যুৎ চলে যায় অনেক এলাকায়।