চৌগাছায় বৃষ্টির পানিতে ভাসছে ধান, মাঠে মাঠে কৃষকের আহাজারি

যশোরের চৌগাছায় কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন পাকা ধান,আর এই শোক যেন উপজেলার মাঠে মাঠে কৃষকের কান্নায় ভারি করছে।জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার আগেই অসময়ের বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে এই সব কাটা ধান।একে তো ঘন ঘন বৃষ্টি তারপরেও ধান কাটা শ্রমিক সংকটে উপজেলার ধান চাষীরা বিপাকে পড়েছেন।

এই উপজেলায় বেশ কয়েকদিনই কম বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাত্রের বৃষ্টিপাতের ফলে উপজেলার কয়েক হাজার কৃষকের জমিতে কাটা ধান বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।তাই অনেকে বাধ্য হয়েই জমির ধান বাঁচাতে সেচে জমির পানি শুকাচ্ছেন,অনেকে আবার কাটা ধানের তাড়ি কাটছেন,অনেকে আবার ভেজা ধান নিয়ে রাস্তার পাশে শুকাচ্ছেন।

সরেজমিন উপজেলার কয়ারপাড়া, টেংঙ্গুরপুর, হাজরাখানা, বাটিকামারি, চাঁদপাড়া, গুয়াতলী, বড়খানপুর, কেসমতখানপুর, হোগলডাঙ্গা ও নারায়নপুর গ্রামের মাঠে যেয়ে দেখা যায়, সব গুলো মাঠের ধানই একই রকম চিত্র।যে ধান গুলো এখনও কাটা হয়নি সে গুলো ঝড়ে মাটিতে পড়ে গেছে আবার যে ধান গুলো সবে মাত্র কাটা হয়েছে সে গুলো বৃষ্টির পানিতে ভাসছে।

চাঁদপাড়া গ্রামের ধান কাটা শ্রমিক জহুরুল বলেন,দুই দিন আগেই আমরা কয়েকজনে এই জমির ধান কেটেছি,কিন্তু ধান বাধার আগেই বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে তাই বাধ্য হয়েই আমরা ধানের তাড়ি কাটছি।গুয়াতলী গ্রামের ধান চাষী আলম বলেন,বৃষ্টির পানিতে ধান ডুবে গেছে, ধান কাটা শ্রমিক সংকট তাই বাধ্য হয়েই আমি নিজে ভেজা ধান শুকানোর জন্য রাস্তার পাশে এনেছি।কয়ারপাড়া গ্রামের ধান চাষী রবিউল ইসলাম বলেন,আমার জমির ধান পেকে গেছে কিন্তু জমিতে পানি থাকায় কাটতে পারছিনা।এ ভাবে ঘন ঘন বৃষ্টি হলে ধান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জারা যায়,উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৮ হাজার পাঁচশত হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। চলতি বছর ইরি ও বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১৭ হাজার আটশত হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছিল, যা এই লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।