সাতক্ষীরায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

রমজানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় ফের বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে গেলো সপ্তাহের চেয়ে বেশি।

জানা গেছে, লকডাউনের কারণে পরিবহন খরচ বেশি ও সরবরাহ কমের কথা বলে ব্যবসায়ীরা এসকল পণ্যের দাম বেশি হাকাচ্ছেন। অনেকটা ইচ্ছেমাফিক লাভ করে নিচ্ছেন তারা। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন ঘরবন্দি কর্মহীন মানুষ। শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায় আর খুচরা ৬০ টাকা। রসুন প্রতিকেজি পাইকারি ৮৫ টাকা আর খুচরা ১২০ টাকা, আলু পাইকারি ২০ টাকা ও খুচরা ২৫ টাকা। শুকনো মরিচের দামও বাড়তি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত একসপ্তাহ ধরে এসব পণ্য তাদেরকে ক্রমাগত বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

পি টি আই মাঠের কাঁচা বাজারে গিয়ে কথা হয় রাজমিস্ত্রি সুকুমার বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৫০টাকা কেজি। তার আগের সপ্তাহে কিনেছি ৩৫ থেকে ৪০টাকা কেজি দরে। ১৭এপ্রিল সেটা ৬০ টাকায় কিনতে হলো। রসুন কিনলাম ১২০ টাকা কেজিতে। খুচরা কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী লিটন জানান, তুলনামূলক বেশি দামে নিত্যপণ্য তাদের কিনতে হচ্ছে, তাই সামান্য লাভে সেটা একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘লকডাউনের কারণ দেখিয়ে পাইকারি বাজারে জিনিসের দাম বেশি। তাই আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি।

১৫ দিন আগে শুকনো মরিচের কেজি ছিল ২৫০ টাকা; এখন তা ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।’ পাইকারি নিত্যপণ্য ব্যবসায়ী পরিতোষ কুমার বলেন, প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকায় পরিবহন খরচ গাড়িপ্রতি বেড়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা। তারপরও মালের ঘাটতি রয়েছে। চাইলেই পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, তিনি দাবী করেন অন্য এলাকা থেকে সাতক্ষীরায় জিনিসের দাম কম।

উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন নিত্যপণ্যের ঘাটতি থাকার কথা না। তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যানবাহন ও সরবরাহে কোনো বাঁধা নেই। ব্যবসায়ীরা এসব অজুহাতে ক্রেতাদের জিম্মি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাজার মনিটরিং কমিটির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান।