সংকটময় মুহুর্তে “নূতন খয়েরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন”

সংকটময় মুহুর্তে “নূতন খয়েরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন” সামাজিক সমতা ঠিক রাখতে নিরলসভাবে যে অবদান রেখে চলেছে সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। সদ্য প্রতিষ্ঠিত একটি সমিতি দুর্বল কাঠামো নিয়ে ইতিমধ্যেই ৩০০+ পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী (চাল, ডাল, আলু, লবন, সাবান ইত্যাদি) পৌঁছে দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়; পন্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত প্রতি ধাপে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে কঠোর ভাবে।

আমার দেখা একটি মাত্র সংগঠন যেখানে ইতিমধ্যে ৩০০+ পরিবারের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছে কিন্তু দাতা বা গ্রহিতা কারো কোন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া হয়নি। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও অসহায় মানুষের (গ্রহিতার) সম্মান অটুট রাখার এই পদক্ষেপকে আমি সাধুবাদ জানাই।

এই সমিতির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ একটা বিষয় মর্মাহত ছিলেন যে, দুর্যোগের এই সময় রাস্তার কুকুর অভুক্ত রয়েছে। তাই পরিকল্পনা করা হয় ১লা বৈশাখে কুকুরদের জন্য খাবার ব্যাবস্থা করা হবে। যেই কথা, সেই কাজ! আজ (১লা বৈশাখ / ১৪ এপ্রিল ২০২০) তৈরি করা হয়েছিল স্পেশাল খিচুড়ি। আর এই খিচুড়ি প্যাকেট করে যশোর পালবাড়ি, গাজীরঘাট, বিহারী ক্যাম্প ও নওদা গ্রামের আনাচে- কানাচে থাকা কুকুরদের দেওয়া হয়। এই বিষয়টা খুবই দুঃখজনক যে অনাহারে থাকতে থাকতে বেশিরভাগ কুকুরের দাঁড়িয়ে খাবার শক্তি ছিল না। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই এ্যাসোসিয়েশন প্রতি সপ্তাহে এক বার রাস্তার কুকুরের খাবারের ব্যাবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এমন মহৎ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এবং জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আর এমন একটা এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি আনন্দিত ও গর্বিত।

লেখা- আবদুল্লাহ আল মুকিত।