চট্টগ্রাম নগরে রাস্তায় ১ ঘন্টায় ২ জনের  মৃত্যু !

চট্টগ্রাম মহানগরে রাস্তায় ১ ঘন্টা ব্যবধানে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের একজন গার্মেন্টসকর্মী, অপরজন রিক্সা চালক।
আজ সোমবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় সেলিম উদ্দিন (৪৫) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর নগরের টাইগারপাস এলাকায় রাস্তাতে মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সকাল ৮টার দিকে নগরীর চকবাজারের অলি খাঁ মসজিদ মোড়ে অজ্ঞাত এক রিকশাচালক হঠাৎ মাথা ঘুরে রাস্তায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়। তবে প্রায় ১ ঘন্টার ব্যবধানেই এ ঘটনা দু’টি ঘটে।
জানা যায়, সেলিম উদ্দিন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা এলাকার মির্জাখীল গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় জিরাত ফ্যাশনের সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে ৩ সন্তানের জনক। তার ৬ মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান এবং বড় ছেলে অষ্টম শ্রেণি ও মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
সেলিমের ভাতিজা রায়হান উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে গার্মেন্টস চালু থাকায় আমার চাচা চিন্তিত ছিলেন। এরমধ্যে গতকালও তিনি অফিস করেছেন। আজ সোমবার গার্মেন্টস খোলা থাকায় তিনি কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে টাইগারপাসে গাড়ির জন্য দাঁড়ানো অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
খুলশী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন বলেন, সেলিম উদ্দিন সকালে অফিসে যাওয়ার উদ্দ্যেশে টাইগারপাস এলাকায় গাড়ীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ অসুস্থতাবোধ করে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ জন্য প্রস্তুতি নিই। ইতোমধ্যে খবর পেয়ে মৃত সেলিমের পরিবারের সদস্যরা থানায় আসেন। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ নিয়ে যেতে চায়। তাই আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ হস্তান্তর করেছি।
জিরাত ফ্যাশনের মানব সম্পদ বিভাগের ম্যানেজার মো: রিগান উদ্দিন বলেন, বেতন দেওয়ার জন্য আমরা আজকে প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছি। তবে আমাদের উৎপাদন বন্ধ ছিলো। এর মধ্যে অফিসে আসার সময় আমাদের সহকারী ম্যানেজার সেলিম উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেছেন বলে খরব পেয়েছি।
এদিকে, নগরীর চকবাজারে মারা যাওয়া পঞ্চাশোর্ধ্ব রিকশাচালকের নাম-পরিচয় এখনো অজ্ঞাত। তবে, চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিয়াজ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, অলি খাঁ মসজিদের সামনে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান ওই রিকশাচালক। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিল্প পুলিশের উপ-পরিচালক মো. নাজিমুল হক জানান, সাধারণ ছুটিতেও চট্টগ্রামের ১ হাজার ২২৯টি কারখানার মধ্যে ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, বায়েজিদ শিল্প এলাকায়সহ বিভিন্ন স্থানে ৩৭৭টি কারখানা চালু আছে। এসব কারখানায় এখনো শ্রমিকরা কাজ করছেন বলে তিনি জানান।