ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু বাগানে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু চাষ

জন্মের পর নবজাতকের মুখে মধু দেয়া পুরনো রীতি। ভেষজ গুণের এই তরল রোগবালাই দূরে রাখে, শরীরকে রাখে ভালো। তাই গ্রামবাংলা, এমনকি শহরের মানুষের কাছে রয়েছে এর আলাদা কদর। ফুল থেকে ফুলে ঘুরে মৌমাছি মধু আহরণ করে মৌচাকে জমায়। আর সেই চাক থেকে সংগ্রহ করা হয় মধু। ঔষধি গুণাবলির জন্যই হোক, আর খাঁটি মধুর খানিকটা দুষ্প্রাপ্যতার জন্যই হোক, মধুর দাম একটু বেশিই। মধু চাষে তাই লাভও বেশি।

ঠাকুরগাঁওয়ের কয়েকজন মৌচাষি এবার লিচু বাগানে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে একদিকে যেমন মৌচাষিরা মধু সংগ্রহ করে লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে মৌমাছির মাধ্যমে মুকুলে মুকুলে পরাগায়ন ঘটায় লিচু বাগান মালিকরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস আম, কাঁঠাল ও লিচুর মৌসুম। এ সময় আম ও লিচুর বাগানে মৌমাছির বাক্স রেখে মধু সংগ্রহ করেন তারা। এরপর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হয় না। মৌমাছির ঘর নিয়ে যান বিভিন্ন স্থানে। তাদের পালিত মৌমাছির দল কখনো বাগান, কখনো খেত, আবার কখনো বিল-ঝিলে ফুটে থাকা ফুল থেকে মধু আহরণ করে। যেখানে ফুল, সেখানে মধু ও মৌমাছির চাষ করেন মৌচাষিরা। ঠাকুরগাঁও জেলায় বেশ কিছু লিচু বাগান গড়ে উঠেছে। প্রতিবছর খরচবিহীন অল্প পরিচর্যায় মোটা অঙ্কের আয় হয় বলে অনেকে লিচুর বাগান করেছেন।

smart

ঠাকুরগাঁও গোবিন্দনগর এলাকার লিচু বাগানগুলোতে বেশ মুকুল ধরেছে। এর মধ্যে ব্যবসায়ী সাদেকুল ইসলামের লিচু বাগানটি বড়। তার বাগানে পাঁচশতাধিক লিচুগাছ।

পঞ্চগড় এলাকার শোনো হোসেন ও রংপুরে ওয়াজেদ আলী নামে দুই মৌচাষি বাগানে ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির মৌমাছির বাক্স বসিয়ে বৈজ্ঞানিক উপায়ে মৌ চাষ করে মধু সংগ্রহ করছেন।