ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ী বাজারে ক্রেতা নেই তবুও দাম বেশি, মৌসুমী ফল তরমুজের

ঠাকুরগাঁও শহর চৌরাস্তা কালিবাড়ী সবচেয়ে বড় ফল বাজার রোড রেলওয়ে স্টেশন চত্বর। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষ ঘর থেকে বের হতে না পারায় তাদের বেচা-কেনায় অনেকটা ভাটা পড়েছে। তবে দোকান ভরা গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল তরমুজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। আর ক্রেতা না থাকায় তরমুজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। ফলে তাদের দাবী ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাধ্য হয়েই দাম কিছুটা বেশি নিতে হচ্ছে । কারন যে তেমুজ আছে ব্যবসায়ীরা বরিসাল থেকে বিক্রি করার জন্য আনছে।
এখানে প্রতিদিন ফল বিক্রি করে রোজগারের টাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের সংসার চলে। প্রতি বছরের এই সময়টাতে এখানকার ব্যবসায়ীরা অন্যান্য ফলের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ কেনা-বেচা করে থাকেন। এবছরও তার ব্যতিক্রময় হয়নি। ক্রেতা না থাকলেও তারা দোকান ভরে তুলেছেন তরমুজ। প্রতিবছরের চেয়ে এবছর তরমুজের দাম একটু বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন গাড়ি ভাড়াকে।
তরমুজ ক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ৮ কেজি তরমুজ কিনেছি ৩২০ টাকায়। এতে প্রতি কেজি তরমুজের দাম পড়েছে ৪০ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে সাধারন মানুষের তরমুজ কিনে খাওয়া সহজ হচ্ছে না।উপজেলার শিবগঞ্জ বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী আলমগির জানায়, নওগাঁর সাপাহার ও নাটোরসহ আশেপাশের জেলা থেকে তরমুজ বাজারে না আসায় এখন বরিশাল, থেকে কালো ও বাংলালিংক জাতের তরমুজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারনে গাড়ি ভাড়া দ্বিগুন দিতে হচ্ছে চালকদের। এতে বাধ্য হয়ে তরমুজের দাম অনেকটা বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।

এপ্রিল ০৪, ২০২০ at ২২:৫৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আআ/তআ