মণিরামপুরে সরকারি সীলযুক্ত ৫৪৯ বস্তা চাল চাতালে খালাসের সময় জব্দ

ট্রাক ভর্তি ৫শ’৪৯ বস্তা সরকারি সিলযুক্ত খাদ্য গুদামের চাল চাতালে আনলোড (খালাস) করাকালে পুলিশ জব্দ করেছে। ঘটনাটি ঘটে শনিবার বিকেল ৬টার দিকে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক সংলগ্ন বিজয়রামপুর গ্রামে ভাই ভাই রাইস মিলে। পুলিশ চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ট্রাক ড্রাইভার ফরিদ উদ্দীনকে হেফাজতে নিয়েছে। চাল জব্দ করাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী উপস্থিত ছিলেন। তবে, চাতাল মালিক মামুন দাবি করেছে, কাবিখা, টিআর কর্মসূচীর ডিও কিনেছেন। কিন্তু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি এসব কর্মসূচীর কোন ডিও ছাড়া হয়নি। অনেক আগেই এসব কর্মসূচীর কাজ শেষ হওয়ায়, তার (কাজের) ডিও সেই সময় দেয়া হয়।

খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায়, করোনা সংকটে ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকায় উপজেলার খাদ্য গুদামে রক্ষিত চাল কমে যাওয়ায়, খুলনার মহেশ্বরপাশার মানিকতলা খাদ্য গুদাম থেকে ৪টি ট্রাকযোগে চাল আনা হয়।

ট্রাক ড্রাইভার ফরিদ উদ্দীন জানান, ৪টি ট্রাক ভর্তি চাল নিয়ে খাদ্য গুদামে পৌছুলে তিনি পিছনের সিরিয়ালে ছিলেন। এসময় খাদ্য গুদামের দায়িত্বরত একজন তাকে চিরকুট ধরিয়ে দিয়ে এই মিলের (ভাই ভাই রাইস মিল) ঠিকানায় চাল আনলোড (খালাস) করতে নির্দেশ দেন।

এদিকে চাল আনলাড করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এসআই তপন কুমার সিংহের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল খালাস করতে দেখেন। এসময় তিনি ট্রাকে বস্তাভর্তি চালের প্রতিটি বস্তায় খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত থাকায় তিনি খালাস না করতে নির্দেশ দেন।

একটু পরেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী উপস্থিত হন। এরপরই সহকারি পুলিশ সুপার সোয়েব হোসেন, থানার ওসি রফিকুল ইসলামসহ আরো একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান।

এসময় পুলিশ চাতাল মালিক মামুন ও ট্রাক চালক ফরিদ উদ্দীনকে হেফাজতে নেন। একই সাথে সিলযুক্ত বস্তাভর্তি ৫শ’৪৯ বস্তা চাল জব্দ করেন।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মুন্না জানান, কাবিখা, টিআর কর্মসূচীর চালের ডিও’র চাল চাতাল মালিক মামুন কিনেছিলেন।
ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ৫শ৪৯ বস্তা চাল সহ ট্রাক জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে।