দারিদ্রতার কাছে হেরে যায় করোনা ভয়

মরন ভাইরাস করোনার ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বের কয়েকটি দেশসহ আমাদের দেশেও চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। নিন্মবিত্তের মানুষ গুলি সরকারি সহযোগিতা পেলেও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ গুলি না পাচ্ছে কারো কাছ থেকে হাত পেতে নিতে আবার না পাচ্ছে কাউকে কিছু বলতে।

কয়েকজন মধ্যবিত্ত বন্ধু আমাকে তাদের অসুবিধার কথা বল্লেও শুধু কান পেতে শোনা আর মিথ্যা আশ্বাস দেয়া ছাড়া তাদের জন্য এই মুহুর্তে কিছুই করতে পারিনি আমি। গত কয়েকদিন আগে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের এক বড় কর্মকর্তা হঠাৎ এক দুপুরে ফোন দিয়ে জানতে চাইলেন কোনো অসহায় পরিচিত মানুষ আছে কিনা? থাকলে তিনি কিছু সহযোগিতা করবেন। আমিও জানালাম তাঁকে কয়েকজন আছে।

নামেরও লিষ্ট দিলাম দুঃখি মানুষদের। সেই বড় কর্মকর্তাকে কয়েকদিন কয়েকবার মনে করিয়ে দিলেও আজও জুটেনি সেই অসহায় মানুষগুলোর কোনো সহযোগিতা। বড় সেই কর্মকর্তাকে বলি এভাবে মিথ্যা আশ্বাস না দিলেই কি হতো না ? বৃহস্পতিবার (০২-০৪-২০২০) সন্ধায় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টি থামার পর বাড়ির দিকে এগুতেই একজন রিক্সা ওয়ালাকে দেখলাম কলা হটার মোড়ে ভাড়ার জন্য অপেক্ষা করছে। কাছে গিয়ে শুনলাম কোনো সরকারী সহযোগিতা তিনি পাননি কয়েক দিন খুব অসুবিধার মধ্যে আছেন। তাই আজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বের হয়েছেন রাস্তায়। দারিদ্রতার কাছে হার মেনেছে তার করোনার ভয়।

আমাদের যাদের সামর্থ আছে তারা ফটো সেশানের জন্য দান না করে আশুন সরকারি ত্রান তহবিলে দান করি। এতে সকলেই উপকৃত হবে। এই মুহুর্তে আমাদের প্রশাসনের উচিত কন্ট্রোল রুম চালু করে। জানিয়ে দিতে হবে কয়েকটি মোবাইল নাম্বার। মোবাইল নাম্বারে কোনো ব্যাক্তি সরকারি ত্রানের কথা বল্লে পৌঁছে যাবে বাড়িতে ত্রান-সাহায্য।

তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ভাবে সরকারি ত্রান এভাবে দেওয়াতে দেখা দিচ্ছে অনেক জটিলতা। এতে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ পড়ছে মহাবিপদে। মাইকিং করে এখনই বন্ধ করা উচিৎ এসব ফটো সেশানের জন্য দান । সরকারি ত্রান সঠিক ভাবে বন্টন হলে দেশের একটি মানুও না খেয়ে থাকবে না।