লোকে লোকারণ্য শিয়ালমারী কাঁচা বাজার

করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সকল প্রকার জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী কাঁচাবাজারে উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের এ ব্যাপারে কোন প্রকার মাথা ব্যাথায় নাই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাপ্তাহিক পশুহাট বন্ধ থাকলেও কাঁচাবাজারের হাট চলমান রয়েছে। শুধু চলমানই নয়, সেখানে যে পরিমাণ জনসমাগম হচ্ছে তা দেখলে রীতিমতো গাঁ শিওরিয়ে উঠবে এই করোনার ভাইরাসের পরিস্থিতি বিবেচনা করলে।

বিশ্বের সকল দেশ যখন আজ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। সেখানে বাংলাদেশের লোকজন কোন ভাবেই কোন প্রকার নিষেধাজ্ঞা মানছে না। আর প্রশাসন দোকানপাট বন্ধ রাখতে নিষেধ করলে ও এত বড় জনসমাগম তাদের চোখে পড়ছে না।

কাঁচামালের বাজার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ভিতরে পড়লে ও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এত বড় জনসমাগম কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।
আরও পড়ুন: খড় ভর্তি ট্রাকের সাথে বৈদ্যুতিক তারের সংঘর্ষে আগুন

তাছাড়া মেইন রাস্তার সাথে হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনের কোন প্রকার টহল সে ভাবে চোখে পড়েনি। তাছাড়া এ বাজারে হাত পরিষ্কার করার কোন ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ তথা হাটের বিক্রেতারা চালু করেনি। একই জায়গা থেকে অনেকেই একসাথে আলু, পটল, কাঁচামরিচ, পেয়াজ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করছে। যদি কোনক্রমে একজনের কোন রকম ভাইরাসের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে হাটে আগত সবারই সংক্রমনের সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে হাটের বিক্রেতারা বলছেন, আমরা গরীব মানুষ পেটের তাগিদে বেচাকেনা করতে এসেছি। তাছাড়া এখনো পর্যন্ত এখানে এসে আমাদেরকে কেউ কোন প্রকার নিষেধাজ্ঞা ও দেয়নি। কাস্টমার আসছে বাজার করে নিয়ে চলে যাচ্ছে এ পর্যন্তই সবকিছু সীমাবদ্ধ।

তবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার হলেও কীভাবে জনসমাগম কম করা যায় সেটা নিয়ে প্রশাসনকে একটু ভাবার দরকার ছিলো। কারণ প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এখন কাঁচাবাজারের হাট সবসময়ই প্রায় চলছে, সেই হিসাবে দিনভর এত জনসমাগম না করে অন্য কোনভাবে এটাকে রুপান্তর করাটা বেশি সুবিধাজনক ছিল বলে মনে হয়। শুধুমাত্র রাতের বেলা চায়ের দোকানে অভিযান চালালেই হবেনা, এসব দিকটা ও একটু ভাবতে হবে। কারণ এতবড় জনসমাগম চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় বর্তমান সময়ে আর কোথাও দেখা যায়নি।

দেশদর্পণ/টিআর/এসজে