চিতলমারীতে জনরোষে কিস্তিওয়ালা

করোনার ছোবলে দিশেহারা মানুষের পেটে ভাত নেই। এর মাঝে আর এক উৎপাত এনজিওর কিস্তি। ঘর থেকে রোজগারের জন্য ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে লোকজন, এমন সময় বাড়িতে এসে হাজির এনজিও কর্মকর্তা। যাকে সকলেই কিস্তিওয়ালা নামে বেশি চেনে। তখনই ঘটে বিপত্তি।

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কুরমুনি গ্রামে সকালে ঘটেছে এই ঘটনা। ‘প্রদীপন’ নামক এনজিও কর্মকর্তা ঈন্দ্রজিত রায়। উত্তেজিত জনতা আটকে রেখে খবর দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে।মাঠকর্মী আশ্বাস আলী ঋন আদায়ের জন্য হুমকি ধামকি দেয় সকল গ্রহীতাকে।
আরও পড়ুন: ১৯৭১-এর বরবরতার স্বাক্ষী দেওয়ার জন্য আমগাছটি এখনো দাঁড়িয়ে!

কুরমুনি গ্রামের ডলি মন্ডল, ইতিহাস বিশ্বাস সহ অনেক গ্রহীতা জানান আশ্বাস আলী, কর্মকর্তা ঈন্দ্রজীত রায় সকালে লোনোর টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এ সময় কথা কাটাকাটি শুনে ঘটনাস্থলে অনেকে হাজির হয়।ইতিহাস বিশ্বাস বলেনপ্রদীপন এনজিও থেকে ৮০০০০টাকা লোন করে। সার্ভিস চার্য ১০৮৪০টাকা এবং কিস্তি ১০০০০টাকা।করোনায় কাজকর্ম বন্দ।কিন্তু তারা কথা শুনবে না।কিস্তি বন্দ এমন কথা বলায় ভবিষ্যতে আর টাকা না দেবার হুমকি দেয়।

চিতলমারীতে ২০-২৫টি এনজিও এবং১০০উপরে অন্যান্য সমিতী।আনেকেই একাধিক এনজিওর সাথে জড়িত।
চিতলমারী নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ মারুফুল আলম বলেন এই সময় এনজিও আদায় অমানবিক। জুন মাস পর্যন্ত সকল প্রকার এনজিও আদায় বন্দ ঘোষণা করেছে সরকার। এটা দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে ইন্দ্রজিত রায় বলেন, উপর মহলের থেকে তাকে এ ব্যাপারে ঋকন না আদায়ের তথ্য দেয়নি।

দেশদর্পণ/এএম/এসজে