গণপরিবহনে নিরাপদ দূরত্ব উপেক্ষিত, করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা

করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে সুরক্ষার. জন্য সামাজিক যোগাযোগ, ঘনিষ্ট মেলামেশা, বাড়িতে অবস্থান, গণ পরিবহনে একত্রিত হয়ে যাতায়াত এবং সরকার লক ডাউন ঘোষণাসহ ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। কিন্তু গাইবান্ধায় পরিবহন যোগাযোগ এবং সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না।

জেলা শহরের ব্রীজ রোড থেকে দারিয়াপুর-লক্ষ্মীপুর, জেলা পরিষদের সম্মুখ থেকে নাকাইহাট সড়ক, বড় মসজিদের সম্মুখ থেকে বাদিয়াখালি-সাঘাটা-ফুলছড়ি, পুরাতন বাজারের গেট থেকে বালাসিঘাট-মদনেরপাড়া-কালিরবাজার সড়কে অটোবাইক, অটোরিক্সা, মিনি ট্রাক ও বড় ট্রাক অবাধে যাতায়াত করছে। এ সমস্ত যানবাহনে গায়ের সাথে গা লাগিয়ে ভীড়ে ঠাসাঠাসি করে যাতায়াত করছে মানুষ।
আরও পড়ুন: সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি

অথচ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একজন মানুষের থেকে আরেকজন মানুষের দূরত্ব ৩ ফিট থাকার কথা। এমনকি দোকানে কেনাকাটা করতে গেলেও ৩ ফিট দূরত্বে লাইন করে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করতে সরকারি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু উল্লেখিত সড়কগুলোতে অবাধে চলাচলকারি গণ পরিবহনগুলোতে সেই নিয়ম একেবারেই মানা হচ্ছে না। এতে এই জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

তদুপরি বাড়িতে থাকার জন্য বলা হলেও সে নির্দেশ অমান্য করে ব্যবসায়িরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অর্ধেক খোলা রেখে দোকানের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছে এবং চোরাগুপ্তা বেচাকেনাও করছে। এ অবস্থা জেলা শহরের স্টেশন রোড ও সান্দারপট্টিসহ অন্যান্য এলাকাগুলোতেও পরিলক্ষিত হয়। গ্রামগঞ্জের হাটবাজার ও মোড়গুলোতে এক সাথে বসে আড্ডা দেয়া এবং খোলা রাখা চায়ের দোকানগুরোতে চা খাওয়ার প্রবণতা সর্বাধিক। ফলে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষিত হওয়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েই যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদাড়ি একান্ত অপরিহার্য বলে পথচারিরা জানালেন।

দেশদর্পণ/এসকেবি/এসজে