অবশেষে মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া

দুই বছর দেড় মাস (৭৭৬ দিন) কারাভোগের পর শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৪টার পর কারান্তরীণ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়।

খালেদা জিয়াকে নিতে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বিএসএমএমইউতে পৌঁছান তার ভাই শামীম ইস্কান্দার, বোন বেগম সেলিনা ইসলাম এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা। ভিড় কমাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য়।

এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পরিবারের সদস্যরা। মুক্তি পেয়ে সরাসরি খালেদা জিয়া চলে যান গুলশানে তার ফিরোজা বাসভবনে। এর আগে প্রস্তুত করা হয় গুলশানের বাসভবনটি।
আরও পড়ুন: রাণীনগরে করোনা প্রতিরোধে পুলিশের টহল

বিএনপি চেয়ারপারসন ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন। এ মামলায় প্রথমে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হলেও পরে উচ্চ আদালত তার শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করে।

অন্যদিকে ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলাতেও তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়।

গত বছর ১ এপ্রিল পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট মামলার সংখ্যা ৩৬টি রয়েছে। পরে সরকার গত মঙ্গলবার শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের সাজা মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

দেশদর্পণ/এসজে