কলেজ শিক্ষককে পেটালেন ঠিকাদার

নির্মানকাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার আড়ুয়াডাঙ্গী বঙ্গবন্ধু কলেজের নির্মান কাজের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক শাহজাহান আলীকে ঠিকাদার মানিক বিশ্বাস হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভূক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বিকেলে সাড়ে ৪ টার দিকে ঔই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জনাব শাহজাহান আলী লাঙ্গলবাঁধ বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি করন্দি গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চাকদাহ ব্রিজের কাছাকাছি পৌছালে পূর্ব থেকে ওৎপেতে বসে থাকা নির্মান কাজের ঠিকাদার মানিক বিশ্বাসসহ ৪-৫ জনের একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক শিক্ষকের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে।তার আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন দ্রুত ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে লাঙ্গলবাঁধ মা ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: যশোরে এসিসিএফের প্রতারণার অভিযোগ

বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ জনাব জালাল উদ্দিন চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য মাগুরা জেলা পরিষদ বেশকিছু টাকা বরাদ্ধ দেয়।সেই টাকায় কলেজের একটি ঘর নির্মান করা হচ্ছে।আর এই কাজের ঠিকাদারির দায়িত্ব পান উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের মানিক বিশ্বাস এবং কাজটি সঠিকভাবে বুঝে নেওয়ার জন্য তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয় অত্র কলেজের শিক্ষক শাজাহান আলীকে।গত একমাস পূর্বে নির্মানকাজে ঠিকাদার মানিক বিশ্বাস নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার চেষ্টা করছিল।তখন এই অন্যায় কাজের ঘোর বাঁধা হয়ে দাঁড়ান উক্ত শিক্ষক ।

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদারের ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন কলেজ ক্যাম্পাসে ওই শিক্ষককে লাঞ্চিত করেন। শিক্ষককে লাঞ্চিত করায় ওই সময় কলেজের শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে জাহাঙ্গীরকে মারধর করে। পরে স্থানীয় এম,পি, ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যায়। কিন্ত মিমাংসা হয়ে গেলেও ঠিকাদার আবার নতুন করে লোকজন নিয়ে এসে শিক্ষককে বেদমভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করেছে এবং ব্যাংক থেকে উত্তোলিত দেড় লক্ষ টাকা কেড়ে নিয়েছে । তবে এবিষয়ে কমিটির সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মাহাবুবুর জানান, কিছুদিন আগে কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যেকারনেই হোক ঠিকাদারকে মারধর করেছিল। একারনেই হয়তবা ঠিকাদার সুযোগ বুঝে উক্ত শিক্ষককে মারধর করতে পারে কিন্ত টাকা-পয়সা নিয়েছে কি-না তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়।তবে এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই অইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

দেশদর্পণ/এমএম/এসজে