করোনা আতংক: হ্যান্ডশেক, কোলাকুলি ভীতিতে পালাচ্ছে ভোটারগন

দেশজুড়ে চলছে করোনা ভাইরাস আতংক। সরকারের নির্দ্দেশনা রয়েছে বেশি লোক সমাগম, হ্যান্ডশেক বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকতে। কিন্তু এরই মধ্যেই অনুষ্টিত হচ্ছে কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন।

এ ভোটের প্রচার প্রচারনায় প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকেরা সাধারন ভোটারদের সাথে করমর্দন ছাড়াও করছেন কোলাকুলি। তাই প্রচার প্রচারনাতেই করোনা ছড়াতে পারে বলে সাধারন মানুষের মাঝে আশংকা দেখা দিয়েছে।

সরকার ইতিমধ্যে করোনা প্রতিরোধে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ ঘোষনা ছাড়াও স্বাধীনতা দিবস সহ জাতীয় বড় বড় অনুষ্টান পালনও সিমিত করার নির্দ্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে এত ঝুকির মধ্যেও কালীগঞ্জে উপ-নির্বাচন যেন কাল হয়ে দাড়াচ্ছে। তাইতো ছোয়াছে করোনার ভয়ে ভোটারদের কেউ কেউ প্রার্থীদের দেখে এড়িয়েই চলছেন।

অন্যদিকে, একারনে বিব্রতবোধ করছেন ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থী ও তার কর্মীরাও। তাইতো করোনা ঝুকি এড়াতে এখনই নির্বাচন পেছানোর কথাও তুলছেন অনেকেই।

সর্বশেষ এ সংকটাপন্ন মুহুর্ত্বে নির্বাচন কমিশন সিইসি থেকেও দেশের সকল নির্বাচন স্থগিতের আভাসও দিয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মার্চ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের উপ- নির্বাচন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদের উপ-নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশরাফুল আলম আশরাফ মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদটি শুন্য হয়ে পড়ে।

কিন্তু সে সময়ে ওই ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন দেওয়া হয়নি। বর্তমানে পৌরসভাটির মেয়াদ আছে আর মাত্র ১ বছর। এরিমধ্যে গত ফেব্রয়ারী মাসের শেষে নির্বাচন কমিশন থেকে শুধুমাত্র ওই ওয়ার্ডের উপনির্বাচননের তফশিল ঘোষনা করা করে। কিন্তু সে সময়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছিল না। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।

কালীগঞ্জ শহরেও করোনা প্রতিরোধে ১২ জনকে হোম কেয়াররেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কিন্তু এরিমধ্যেও ভোটের প্রচার প্রচারনা লোকসমাগমের কারনে করোনা ছড়াতে পারে আশংকায় শহর জুড়ে সাধারন মানুষ আতংকিত হয়ে পড়ছে। অনেকেই বলছে এ ভোটটি স্থগিত বা সময় পিছিয়ে দিলে বেশ ভাল হত।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫নং ওয়ার্ডে ভোটারদের অনেকেই বলেছে, দেশে এখন করোনা ভাইরাস নিয়ে সবাই শংকিত। তাই আগে জীবন বাচাতে হবে, তারপর ভোট। তারা আরো জানান, ভোটের প্রার্থী ও তার কর্মীরা ভোট চাইতে দলে দলে বাড়ীতে আসছেন। এতে বেশি লোকসমাগমে করোনা ছড়াতে পারে। তাই দাবী তুলছেন ভোটটি পিছিয়ে দিলেই ভাল হয়।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা  শামিমা শারমিন জানান, কোন কারনে লোকসমাগম ঘটালে করোনা প্রতিরোধ মারান্তক সমস্যা হতে পারে। তা একবার ছড়িযে পড়লে রোধ করা কঠিন। তবে, হ্যান্ডশেক বা কোলাকুলি থেকে অবশ্যই বিরত থাকা উচিত।

করোনা প্রতিরোধ মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবণা রানী সাহা জানান, জনসমাগমে করোনা ছড়ানোর আশংকা থাকেই। ইতিমধ্যে সরকার স্কুল, কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্টান বন্ধ ঘোষনা সহ সকল প্রকার সামাজিক অনুষ্টান থেকে বিরত থাকতে বলেছে।

করোনা আতংকে স্থানীয় ভোট পেছানোর বিষয়ে বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। তারাই সিদ্বান্ত দিবেন বলে জানালেও ভোটের প্রচারে হ্যান্ডশেক বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মেহেদী হাসান জানান, দেশব্যাপী করোনা প্রতিরোধে সরকার জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে। তফশীল অনুয়ায়ী এ পৌরসভার মাত্র একটি ওয়ার্ডের উপ-নিবাচন হচ্ছে।

তবে, করোনার কারনে ভোট স্থগিত হতে পারে এমন আভাষ পেলেও এখনো এমন কোন সরকারী নির্দ্দেশনা আসেনি বলে জানান তিনি।