বাঙ্গালি জাতি সত্তার মহানায়কের জন্মশত বার্ষিকী: কাজী রফিকুল

বাঙ্গালী জাতি সত্ত্বার মহানায়ক, স্বাধীনতার স্হপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও সাবেক ছাত্র নেতা কাজী রফিকুল ইসলাম।

তিনি তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, আগামী ১৭ মার্চ বহু প্রতিক্ষার পর বাঙ্গালী জাতি সত্ত্বার মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালিত হতে যাচ্ছে। সারা বিশ্ব করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী স্বল্প পরিসরে পালন হলেও বাঙ্গালীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার কোন কমতি নাই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি সেদিন মুক্তির সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর বজ্র কণ্ঠের সময় উপযোগী ভাষন বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল।
আরও পড়ুন: রুয়েট শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

৫২ এর ভাষা আন্দোলন,৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন,৬৯ এর গণঅভ্যুস্হান, ৭০ এর নির্বাচন, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ সকল আন্দোলন সংগ্রাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল।বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সুখী,সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা যার স্বপ্ন ছিল,বুকে লালন করেছিলেন সোনার বাংলা বির্নিমানের স্বপ্ন।কিন্তু স্বপ্ন ধারন করা সেই বুকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি স্বীয় স্বার্থ সিদ্ধীর জন্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে কলঙ্কিত অধ্যায়ের সূচনা করে।

সেদিন ওরা বাঁচতে দেয়নি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের অন্য সদস্যদেরকেও।ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় সেদিন বেঁচে গিয়েছিলেন আমাদের প্রান প্রিয় নেত্রী,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বোন শেখ রেহেনা।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা একটি স্বাধীন স্বারভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন থেকে বঞ্চিত হতাম। সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারন করে আসুন সবাই মিলে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে, জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত দূর্নিতী মুক্ত বাংলাদেশ বির্নিমানে অংশ গ্রহন করি।

তিনি আরো বলেন, প্রকৃত বঙ্গবন্ধু প্রেমীদের খুঁজে বের করা এখন সময়ের দাবি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

দেশদর্পণ/এআর/এসজে