একে একে লাশ গুনে নিল স্বজনরা

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় নিজের বাগানের গাছকাটা কেন্দ্র করে বিজিবি সদস্য ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার সকালে স্বজনদের কাছে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর করেন মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. শামসুদ্দিন ভুঁইয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মাটিরাঙা সার্কেল) মো. খোরশেদ আলম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আলাউদ্দিন লিটন ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এমরান হোসেন।

এর আগে সকাল সোয়া ৮টার দিকে চারজনের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স গাজিনগর পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। কান্নার রোল ওঠে পুরো গাজিনগরে। লাশ দেখতে শত শত মানুষ জড়ো হয় নিহতদের বাড়িতে।
আরও পড়ুন: পিকআপচাপায় মেয়েসহ শিক্ষক মা নিহত

প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকালেই আলুটিলা বটতলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম নামাজের জানাজা পড়ে ১০টার সময় ইসলামপুর জামে মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা হবে। তারপর বটতলী কবরস্থানে মো. মফিজ মিয়াকে এবং ইসলামপুর কবরস্থানে সাহাব মিয়া ও তার দুই ছেলে আকবর আলী ও আহাম্মদ আলীকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এমরান হোসেন।

এর আগে ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাতেই বরগুনার বেতাগী উপজেলার দক্ষিণ বাসন্ডা গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয় নিহত বিজিবি সদস্য মো. শাওন খানের মরদেহ।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নিজের বাগানের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মাটিরাঙ্গার গাজিনগরে বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এসময় বিজিবি সদস্যরা গুলি করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাহাব মিয়া ও তার ছেলে মো. আকবর আলী। এসময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিজিবি সদস্য শাওন, স্থানীয় আহাম্মদ আলী, মফিজ মিয়া এবং মো. হানিফ মিয়াকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা যান বিজিবি সদস্য শাওন ও আহাম্মদ আলী। এদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান মো. মফিজ মিয়া।

দেশদর্পণ/এসজে