৪০ দিনে ই-পাসপোর্টের আবেদন ৩৬ হাজার

 ই-পাসপোর্ট উদ্বোধনের ৪০ দিনের মধ্যেই অনলাইনে আবেদন করেছেন ৩৬ হাজার ৪১ জন। গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট উদ্বোধনের পর অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত এসব আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ১১ হাজার ১৯টি আবেদন প্রসেস হয়েছে।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে ১ হাজার ৬৮০টি। বিতরণের জন্য ডেলিভারি কাউন্টারে রয়েছে ১ হাজার ২২৯টি ই-পাসপোর্ট এবং পুলিশ তদন্তে রয়েছে ৩ হাজার ২৭৫টি। প্রথম দিকে ইনরোলমেন্ট প্রতিদিন শতাধিক দিয়ে আরম্ভ করলে তা এখন দাঁড়িয়েছে তিন শতাধিক।

প্রথমে আগারগাঁও থেকে ইনরোলমেন্ট শুরু হলেও বর্তমানে উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, সচিবালয় ও ক্যান্টনমেন্ট অফিসে চালু হয়েছে। এদিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) উত্তরা ও যাত্রাবাড়ীতে জমা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি এ মাসের মধ্যে আরো ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে অর্থাৎ ৪ মার্চ থেকে মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, ১০ মার্চ নরসিংদী, ১২ মার্চ মুন্সীগঞ্জ, ১৬ মার্চ গোপালগঞ্জ, ১৮ মার্চ ময়মনসিংহ, ২৩ মার্চ চট্টগ্রামের দুটি, ২৫ মার্চ নোয়াখালী এবং ৩০ মার্চ কুমিল্লায় ইনরোলমেন্ট চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান।

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের সাধ্যানুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। যেহেতেু সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর তাই এক এক সময় এক এক ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমরা সে সমস্যার সমাধান করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, আমাদের সামনের দিনগুলোতে সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে।

গত ২২ দিনে অনলাইনে ২২ হাজার ই-পাসপোর্টের আবেদন পাওয়া গেছে। এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দিন প্রধানমন্ত্রী এই পাসপোর্ট গ্রহণ করেন।

পরদিন ২৩ জানুয়ারি থেকে ঢাকা শহরের বাসিন্দারা ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে শুরু করেন। রাজধানীর আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, সচিবালয় ও ক্যান্টনমেন্টে তাদের আবেদন নেয়া হচ্ছে।

অত্যাধুনিক এই ই-পাসপোর্টে একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর (মোবাইলের মেমোরি কার্ডের মতো) চিপ থাকবে। এই মাইক্রোপ্রসেসর চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক (ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ) তথ্যসহ মোট ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে।

উল্লেখ্য, পৃথিবীর ১১৯টি দেশের নাগরিকরা ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। ই-পাসপোর্টের বই দেখতে অনেকটা চলমান মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) মতোই হবে।

তবে এমআরপির প্রথম ২ পাতায় পাসপোর্টধারীর তথ্য থাকলেও ই-পাসপোর্টের দ্বিতীয় পাতাটি থাকবে একটি পলিমারের তৈরি কার্ডের মতো ডেবিট, ক্রেডিট (এটিএম কার্ড সদৃশ)। কার্ডে পাসপোর্ট বাহকের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখসহ বিভিন্ন মৌলিক তথ্য থাকবে।

এছাড়া সেই কার্ডের ভেতর একটি মাইক্রো চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্ট বাহকের সব গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্য ও ডাটাবেজ সংরক্ষিত (কিন্তু অদৃশ্য) থাকবে। ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর ৩ ধরনের ছবি, ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ।