ইবির বইমেলায় ৭ শিক্ষার্থী ও ১১ শিক্ষকের বই

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তিন দিনব্যাপী বই ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনী মেলায় ৭ শিক্ষার্থীর নতুন বই প্রকাশ হয়েছে। পাশাপাশি উপাচার্যসহ ১১ শিক্ষকের লেখা ও অনুদিত মোট ১৪টি নতুন বই বের হয়েছে। বইগুলো ঢাকায় অমর একুশে গ্রন্থমেলা ও ক্যাম্পাসে বইমেলার বিভিন্ন স্টলগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে।

খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি, জাতি সংঘের ইতিহাস ও রহস্য নিয়ে লেখা আরবী ভাষা ও সহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়্যুম আহমেদের ‘ইলুমিনাতি’ বইটি প্রকাশ হয়েছে বইমোলায়। বইটি প্রকাশ করেছে তাজকিয়া পাবলিকেশন। একুশে বইমেলা ও বিশ^বিদ্যালয়ের বইমেলায় বইটি ব্যাপকভাবে সারা ফেলেছে।

আব্দুল কাইয়্যুম বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় নয় দিনে প্রথম প্রকাশিত পাঁচ শত বই বিক্রি হয়েছে। এখোন পযর্ন্ত এক হাজার দুই শত বই বিক্রি হয়েছে। বইটিতে আমি গল্পের ছলে বিশ^ রাজনীতির বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছি।’

এছাড়াও ‘বাবুই’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত একই বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম আলভির ছোটগল্প ‘শেষ বিকেলের চিঠি’ এবং পরিলেখ প্রকাশনী থেকে ইসলাম রফিকের কাব্যগ্রন্থ ‘বিজয়ের তরে গন্তব্য’ বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে। আইন বিভাগের ¯œাতকত্তোরের শিক্ষার্থী মাসুদা খানমের উপন্যাস ‘নিস্তব্ধ হৃদয়’ প্রকাশ করেছে হিমাদ্রী প্রকাশনী। আল-হাদিস বিভাগের শিক্ষার্থী সালেহ ফুয়াদ অনুদিত ইনতেজার হোসাইনের ‘বাস্তি’ প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য প্রকাশনী। দাওয়াহ বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন হাবীবের কাব্যগ্রন্থ ‘স্বপ্নের বীজতলা’ পাওয়া যাচ্ছে বইলেলায়। আত্মজিবনী মূলক বই ‘ধর্মের সন্ধানে’ প্রকাশ করেছে ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়ানুর রহমান।

শিক্ষার্থীদের পাশপাশি এবছর উপাচার্যসহ ১১ শিক্ষকের লেখা ও অনুদিত মোট ১৪টি নতুন বই বের হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী’র লেখা ছোটগল্প সংকলন ‘নাইনটিন সেভেনটি ওয়ান’র নয়াদিল্লীতে প্রকাশের পর আগামী প্রকাশনী বইটির বাংলাদেশী সংস্করণ বের করেছে বইমেলায়।
আরও পড়ুন: মরিয়মনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাসিম বানুর ‘প্লানিং, মনিটরিং এন্ড ইভাল্যুয়েশন ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ক বই, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিনের কাব্যগ্রন্থ ‘স্বর্গীয় প্রযুক্তি’। একই বিভাগের ড. মুন্সি মুর্তজা আলীর ‘তবু তো ফাগুন আসে’ ও ‘চৈতন্য’ নামে দুটি কাব্যগ্রন্থ মেলা স্থান পেয়েছে।

বইমেলায় অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান অনুদিত ‘মক্কার মর্যাদা’ অধ্যাপক ড. কামরুল হাসানের অনুদিত গল্পগ্রন্থ ‘স্বপ্নসুখ’, উপন্যাস ‘মিস জাকার্তা’ এবং ‘ফেরেস্তার প্রার্থনা’ বিভিন্ন স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেনের ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি: সাহিত্যকর্ম ও সমাজ চিন্তা’, একই বিভাগের ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলের কাব্যগ্রন্থ ‘নরক আমার বোন’ বই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে। অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মুঈদের ‘মাতৃভূমির বিলাপ’ ও একই বিভাগের ড. রায়হান শরীফের উপন্যাস ‘নিঃসঙ্গ ধ্রæবতা’র দেখা মিলছে। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. এম এম শরিফুল বারীর ‘ভারতে পর্তুগিজ বণিকদের ইতিহাস’সহ মোট ২টি বই বের হয়েছে।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠিত লেখকদের পাশাপাশি তরুণ ও উদীয়মান লেখকদের অনুপ্রেরণা যোগাতে আমরা তিনদিন ব্যাপী বই ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনী মেলার আয়োজন করেছি। এবারের বইমেলায় গতবারের তুলনায় লেখক বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করি এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে আমাদের ক্যাম্পাস একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে বেড়ে উঠবে।’

দেশদর্পণ/এএন/এসজে