অগ্নিকাণ্ডে ৩০ ঘর ভস্মীভূত, প্রশাসনের সহায়তা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর সীমান্তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে সেখানকার ৩০টি ঘর পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে ১৫টি গৃহপালিত পশু। এ দুর্ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু সহায়তা করা হয়েছে।

রোরবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পদ্মারচর লোকনাথপুর গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় জানা সূত্রে জানা গেছে, লোকনাথপুর গ্রামের জিন্নাত সর্দারপাড়ার বাসিন্দা ময়ের উদ্দিনের বাড়ির রান্নাঘরের চুলা থেকে দুপুর দেড়টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বাড়িগুলোতে। পরে এলাকাবাসীর আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগেই ভয়াবহ এ আগুনে ময়ের উদ্দিন সরদার, জিন্নাত সরদার, কালু সরদার, লালু সরদার, ভাদু সরদার, বাবু সরদার, আসমত সরদার, মমিন সরদার, মজিবর রহমান, রহিমা খাতুন, কুলসুম খাতুন, রোকন আলীসহ ১৫ জনের অন্তত ৩০টি টিনের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

একই সঙ্গে এ অগ্নিকাণ্ডে ময়ের উদ্দিনের পাঁচটি, লালু সরদারের তিনটি, বাবু সরদারের তিনটি ও কুলসুম খাতুনের দুটি ছাগলসহ ১৫টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে।

রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল সাংবাদিকদের জানান, লোকনাথপুর গ্রামের জিন্নাত সরদারপাড়ায় আগুনে পুড়ে ১৫টি পরিবারের অন্তত ৩০টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় ১৫টি ছাগলসহ ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্র ও খাদ্যশস্য পুড়ে যাওয়ায় এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিকেলে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইওএনও) শারমিন আক্তার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চাল, ডাল ও কম্বলসহ আরো কিছু সাহায্য সহযোগিতা করেন। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইদুর রহমানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।