চাঁদা না দেওয়ায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর দায়ে এসআইয়ে শাস্তি দাবি

দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় মাদক মামলায় ফাঁসানোর দায়ে এসআই ও কনস্টেবলের শাস্তি দাবি দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় মাদক মামলায় ফাঁসানোর দায়ে এসআই ও কনস্টেবলের শাস্তি দাবি দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় মাদক মামলায় ফাঁসানোর দায়ে এসআই ও কনস্টেবলের শাস্তি দাবি দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় মাদক মামলায় ফাঁসানোর দায়ে এসআই ও কনস্টেবলের শাস্তি দাবি। রাজশাহীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ৩০ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় মিথ্যা মাদক মামলায় জাহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে (২২) জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। রাজশাহী নগরীর বেলপুকুর থানার এসআই মোতালেবুর রহমান ও কনস্টেবল মোা: জুয়েলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জাহিদের বাবা জালাল উদ্দিন। রোববার দুপুরে নগরীর একটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জালাল উদ্দিন বলেন, বেলপুকুর থানার এসআই মোতালেবুর রহমান ও কনস্টেবল মোঃ জুয়েল গত এক মাস আগে থেকে আমার ছেলে জাহিদুল ইসলামের কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এরই জের ধরে গত ২৬ জানুয়ারি বিকেলে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পাশেই একটি চায়ের দোকানে এসআই মোতালেবুর রহমান এবং কনস্টেবল জুয়েল সিভিল পোশাক পরিহিত অবস্থায় আসেন।
আরও পড়ুন: বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিকের মৃত্যু

এসময় তারা জাহিদুল ইসলামকে বলেন, তোর কাছে মাদকদ্রব্য আছে বের কর। জবাব দেয়ার আগেই তারা জাহিদুলকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা লাঠি দিয়ে পেটাতে পেটাতে তাকে মাটিতে ফেলে দেন। এমনকি মুখের ভেতর হাত ও লাঠি ঢুকিয়ে দেন। জাহিদুলের কাছে কোনো মাদক না পাওয়া গেলেও এবং স্বীকারোক্তি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে থানায় নিয়ে যান এসআই মোতালেবুর ও কনস্টেবল জুয়েল। পরে পরিবারের তরফ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হলে এসআই মোতালেবুর তাদের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা ১৫ হাজার টাকা দিতে চান। এসআই মোতালেবুর ও কনস্টেবল জুয়েল এতে রাজি না হয়ে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, জেলার পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ডোপ টেষ্ট করেও জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের কোনো প্রমাণ মেলেনি। তাছাড়া জাহিদুল মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নয়। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা। একইসঙ্গে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে এসআই মোতালেবুর রহমান ও কনস্টেবল মো: জুয়েলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জালাল উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জাহিদের মা দুলালী বেগম, মামা ওবায়দুর রহমান বিদ্যুৎ ও দুলাভাই ফারুক হোসেন মিলন উপস্থিত ছিলেন।

দেশদর্পণ/এমআরআর/এসজে