চিকেন পক্সে যেসব নিয়ম মানা জরুরি

শীতের শেষে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন মানেই আবহাওয়া পরিবর্তন। এ সময়েই সব রকম অসুখের সঙ্গে হানা দেয় চিকেন পক্স। তাই এসময়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হতে হয়। আর চিকেন পক্স যদি হয়েই যায় তবে নিতে হবে বাড়তি যতœ।

ভ্যারিসেল্লা ভাইরাসের আক্রমণে ঘটা এই অসুখ অত্যন্ত সংক্রামক। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীকে বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।

তবে চিকেন পক্সের চিকিৎসা ও এই রোগীর যতœ কীভাবে নিতে হয় তা জানতে হবে। এছাড়া খাবার খাওয়ার বিষয়ে জানতে হবে। যেসব লক্ষণে বুঝবেন চিকেন পক্স হয়েছে

১. ভাইরাস সংক্রমণে এ রোগের শুরুতে শরীর ম্যাজম্যাজ, হালকা ব্যথা, অল্প জ্বর থাকবে, গায়ে ছোট ছোট বিচি বা র্যা শ উঠবে।

২. সাধারণত এ র্যা শ বুকে-পিঠে দেখা যায়, তবে সারা শরীরেই উঠতে পারে। এ বিচিগুলোতে পানি থাকে, দেখতে অনেকটা ফোসকার মতো।

যা করবেন:

১. এ রোগীকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে। থালাবাসন, কাপড়চোপড় বা রোগী স্পর্শ করে এমন সবই অন্যদের থেকে পৃথক করে দিতে হবে। কুসুম গরম পানিতে গোসল করা ভালো।
আরও পড়ুন: চুল পড়ছে খুব? তাহলে…

২. এমন কোনো খাবার খাবেন না যা থেকে রোগীর পূর্ব থেকে শরীরে অ্যালার্জি বা চুলকানি হতো।

৩. চিকেন পক্সের ক্ষত খোঁটা যাবে না। খুঁটলে স্থায়ীভাবে দাগ বসে যাবে। এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। ছয় মাসের মধ্যে দাগ এমনিতেই চলে যায়।

৪. মুখে ডাবের পানি বা প্রসাধনী ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

৫. চিকেন পক্স হলে নিয়ম মেনে চলাটা খুব জরুরি। নিয়ম মেনে চললে ১০-১৫ দিনেই পক্স ভালো হয়ে যায়।

৬. বাইরে বের হতে দেয়া যাবে না। এতে বাইরের বাতাসে পক্স শুকাতে দেরি হতে পারে।

৭. চিকেন পক্সে সাধারণত বিশেষ কোনো ধরনের ওষুধ প্রয়োজন হয় না। তবে চিকেন পক্স হলে শরীর খুব চুলকায় সে জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।

৮. পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া সব পক্স বের হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হোমিও কিংবা ইউনানি জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে পারেন।

৯. চিকেন পক্স হলে সেপসিস, এনকেফালাইটিস, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এসবের চিকিৎসাও করানো প্রয়োজন।

১০. পক্স হওয়ার ৫-৬ দিন পর থেকে নিমপাতা ও হলুদ একসঙ্গে বেটে পুরো শরীরে মেখে ৪-৫ দিন গোসল করাতে হবে। এ ছাড়াও কিছুদিন পানিতে নিমপাতা সেদ্ধ করে গোসল করিয়ে দিন।

১১. চিকেন পক্সের দাগ দূর করতে বিশেষ ধরনের লোশন পাওয়া যায়। এগুলো লাগাতে পারেন। এ ছাড়া কচি ডাবের পানি দিয়ে শরীর, মুখ ধোয়ালেও দাগ দূর হয়।

১২. র্যা শ ঝরা শুরু করলে এগুলো যেখানে-সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে জমা করুন। খোসা এমনিতেই না উঠলে নখ দিয়ে ওঠানোর চেষ্টা করা উচিত নয়। এতে শরীরে দাগ হয়ে যেতে পারে।

দেশদর্পণ/এসজে