পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানায় এসআই স্বপন হোসেনের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের কিশোরীকে জড়িয়ে আপত্তিকর অভিযোগ উঠেছে। গত (৬ ফেব্রæয়ারী) গোদাগাড়ী মডেল থানাধিন শ্রীমন্তপুর এলাকায় এ ঘটনা বলে জানা গেছে।

বুধবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় উত্তম ঘোষ, মফিজুল ইসলাম ও শরিফুন নামের এক গৃহবধূর সাথে কথা বলে জানাযায়, গত ১৩-১৪ বছর যাবত গোদাগাড়ী পৌরসভা বস্তিতে চটপটি ব্যবসায়ী মুক্তার তার দুই শিশু কন্যকে নিয়ে বসবাস করতেন। তার বাড়ি রংপুরে।

গত ৩-৪ মাস পূর্বে শ্রীমন্তপুর গ্রামে তারা মৌসুমি ঘোষের বাড়িতে ভাড়া ওঠে। গত ((৬ ফেব্রæয়ারী) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ব্যচেলর এসআই স্বপনের রুমে টিভি দেখতে যায় ওই কিশোরীর ৫ বছরের ছোট বোন। পরে কিশোরী তার ছোট বোনকে এসআই স্বপনের রুমে গিয়ে ডেকে নিয়ে আসে।

এসআই স্বপন ওই এলাকায় কন্সটেবল আজিজুলের বাড়িতে গত (৩০ জানুয়ারী) একটি রুম নিয়ে একাই ভাড়া থাকেন।
আরও পড়ুন: ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না’

এসআইয়ের রুম থেকে কিশোরী তার বোনকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে এলাকায় কিছু সংখ্যক মানুষ গুঞ্জন তোলে কিশোরী ও স্বপনকে জড়িয়ে। এক পর্যায়ে তিল হয়ে যায় তাল। কিশোরীর সঙ্গে এসআইকে জড়িয়ে নানা আপত্তিকর গল্পের সৃষ্টি হয়।

এরই মধ্যে বিভিন্ন এনজিওর কিস্তিতে জর্জারিত কিশোরীর বাবা তার পরিবার নিয়ে ওই এলাকা থেকে চলে যায়।
তারা আরো বলেন, কিশোরীর পরিবারের নিকট থেকে বাড়ির মালিক তিন মাসের বকেয়া ভাড়া পাবেন। তবে তারা ভাড়া না দিয়েই চলে গেছে।

এসআই স্বপন হোসেনের সাথে বুধবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক এলাকাবাসীর ধারণার থেকে আমার সাথে ওই কিশোরী যুক্ত করে আপত্তিকর কথা রটাচ্ছে। গুঞ্জনে যা শোনা যাচ্ছে তা সবই গুজব।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, এসআই স্বপনের বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনো অভিযোগ আমার জানা নাই। তাছাড়া কোন পরিবার থেকে এ ধরনের অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দেশদর্পণ/এমআরআর/এসজে