বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: এখনও নিখোঁজ ৫২

কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগরে ছোট ছোট পাঁচটি বোটে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন মোট ১৩৮ জন রোহিঙ্গা। পরে তাদের আরেকটি বোটে তোলার পরই সেটি ডুবে যায়।

এ ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে ৭১ জনকে উদ্ধার করে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৫২ রোহিঙ্গা।

কোস্টগার্ড সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, জীবিত উদ্ধার ৭১ জনের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, ৪৪ নারী ও ৩ শিশু রয়েছে। মৃত অবস্থায় উদ্ধার ১৫ জনের মধ্যে ৩ শিশু ও ১২ নারী ছিলেন। নিহত ১৫ জনকে টেকনাফে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সহকারী পরিচালক (গোয়েন্দা) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম জানান, ১৩৮ জনের মধ্যে নিখোঁজ রয়েছেন ৫২ জন। তাদের উদ্ধারে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে ১৫ রোহিঙ্গার মৃত্যু

তিনি বলেন, ‘উদ্ধার অভিযানকালে ওই বড় বোট থেকে দু’জন দালালকে আটক করে কোস্টগার্ড। এ ব্যাপারে তাদের বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরপর আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

‘প্রকৃতপক্ষে পাঁচটা ছোট ছোট বোটে করে মোট ১৩৮ জন রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিরেন। পরে দালাল তাদের অপর একটি বোটে তুলে নিয়ে রওনা হলে, সেটি আজ ভোরে ডুবে যায়। সকাল থেকে আরেকটি নিখোঁজ বোটের কথা বলা হলেও সেটি মূলত ওই ছোট ছোট বোটগুলোরই একটি।’

এর আগে সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. নাঈম উল হক বলেন, ‘নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি আমরা। ট্রলারডুবিতে হতাহতদের সবাই রোহিঙ্গা। টেকনাফ থেকে সমুদ্রপথে ট্রলারযোগে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা।’

উদ্ধার রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রলার ডুবে যায়। এতে অনেকেই ডুবে যান। কেউ কেউ সাঁতরে পার হন।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ডুবে যাওয়া ট্রলারের রোহিঙ্গারা নুর আলম ও সৈয়দ আলম নামের দুই জন দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। দুই দালারও ডুবে যাওয়া বোটে ছিলেন।

দেশদর্পণ/এসজে