পর্নোগ্রাফি মামলায় রিমান্ডে রাবি ছাত্রলীগকর্মী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বান্ধবিকে মেসে ডেকে ধর্ষণ করে ও ভিডিও ধারণ করার ঘটনায় জড়িত অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগ কর্মী মাহফুজুর সারদ (২২) কে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এমামলায় সারদসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মতিহার থানা পুলিশ।

সোমবার সারদকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাসুদ পারভেজ।

মামলার বরাত দিয়ে মতিহার থানার (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজুর সারদ (২২) রাবির এক ছাত্রী বান্ধবিকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে কাজলা সাঁকপাড়া এলকায় মেসে এনে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার বন্ধু নগরীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যায়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্লাবন সরকার, রাফসান, জয়, জীবন এবং বিশালকে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে।
আরও পড়ুন: ভুয়া শিক্ষার্থীর নামে উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক

ধর্ষণের পরে ওই ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তারা। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেয় তারা। ধর্ষণের শিকার রাবি ছাত্রী বিষটি তার বাবা-মাকে জানান।

গত ২৭ জানুয়ারি দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ও মা এসে মতিহার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের করার পরেই মতিহার থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে রাবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমানকে (২১) ও তার দুই বন্ধু প্লাবন তালুকদার (২১) এবং রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রাফসানকে (২২) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পরে তাদের কাছে থেকে ধর্ষণের ভিডিওসহ মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে চার কিশোরীকে গণধর্ষণ

এদিকে, গত রোববার রাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষক মাহফুজুর রহমানের দুই বন্ধু মতিহার কাজলা এলাকার জীবন (২৫) ও জয়কে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাসুদ পারভেজ। এর মধ্যে বিশাল নামের একজন পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

এঘটনায় ভাড়া দেয়া বাড়ির মালিক হাসান জানান, তিন মাস আগে ওই ছাত্রদের বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলাম। ভাড়া দেয়ার এক মাস পরে তাদের আচরণ সুবিধাজনক মনে না হলে তাদেরকে ভাড়া নেয়া রুমটি ছেড়ে দিতে বলে ছিলাম। তারা অনুরোধ করে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত থেকে বাড়ি ছেড়ে দিতে চায়। এর মধ্যে এমন অপ্রিতীকর ঘটনার পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করার পরে বিষটি জানতে পারি।

দেশদর্পণ/এএসএস/এসজে