সরিষায় কৃষকের হাসি

কয়েকদিন আগেও নাগেশ্বরীর ২৮২০ হেক্টর জমি ছিল সরিষার হলদে ফুলে হলুদিয়া- কয়েকদিনের ব্যবধানে তা আজ ফুলের পরিবর্তে ফল হয়ে সবুজ দানায় পরিপূর্ণ হয়েছে সরিষার প্রতিটি গাছ, সে দানায় দানায় আশায় বুক বেঁধেছে সরিষা চাষীরা। আর সে আশায় আনন্দিত মনে সরিষা তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নাগেশ্বরীর কৃষকেরা।

তবে ভাল ফলনের পাশাপাশি সরিষা বিক্রিতে ন্যায্য মূল্য পেলে বন্যায় ক্ষতি এবং আমন ধান বিক্রিতে ন্যায্য মুল্য না পাওয়া ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে সক্ষম হবেন নাগেশ্বরীর ১৫টি ইউনিয়নের সরিষা চাষী।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা হিসাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে পরিত্যাক্ত ও নিচু জমিতে চাষের জন্য মৌসুমের শুরুতেই উপজেলায় ১১০০ শত কৃষকের তাদের প্রত্যেককে ১ কেজি করে উন্নত জাতের বারী-১৪ নামক সরিষা বীজ সহ ডিএপি ২০ কেজি, পটাম ১০ কেজি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও নিজস্বভাবে উৎপাদিত দেশী সরিষা বীজ বুনেছিল অনেক কৃষক।
আরও পড়ুন: ওরশে উচ্চ শব্দে গান বাজানোর দায়ে ১৫ মাইক জব্দ

জানা যায়, উপজেলার কেদার, কচাকাটা, বল্লভেরখাস, নারায়নপুর ও বলদিয়া ইউনিয়নের সরিষা চাষীর কাছ থেকে সরিষা ফলন ও সরিষা নিয়ে তাদের আশার কথা জানতে চাইলে কেদার ইউনিয়নের অনেকেই একর প্রতি ১৫ মণ পর্যন্ত সরিষা ঘরে তোলার আশা প্রকাশ করে বর্তমানে সরিষা বিক্রিতে মণ প্রতি তেরশত থেকে ষোলশত টাকা মুল্যে অসন্তোস প্রকাশ করে সরিষার দাম বাড়ানোর জোর দাবি করেন তারা।

নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সামসুজ্জামান জানান, উপজেলায় সরিষা উৎপাদনে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩০০ হেক্টর জমিতে, কিন্তু তা আমাদের প্রচারণা ও কৃষকদের স্ব-ইচ্ছায় সরিষা চাষে এগিয়ে আসায় আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো ১২০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। ফলন ভাল ও দাম ভাল থাকায় আগামীতে আরো অনেকেই সরিষা এগিয়ে আসবেন বলে আশা করা যায়।

দেশদর্পণ/এজিএল/এসজে