ইরি-বোরো রোপনের কাজে চাষীদের হিড়িক

মাঘ মাসের প্রাই শেষের দিক তবুও পুরো দমে চলছে ইরি-বোরো চাষাবাদ, এক দিকে জমি প্রস্তুত ও চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।

এ বছর উচুঁ জমি গুলো একটু আগে ভাগে রোপন করা হয়েছে ৷ আর নিচুঁ জমি গুলির রোপনের কাজে হিড়িক পড়েছে কৃষকের মাঝে ৷ এমনটিই দেখা গেছে, মণিরামপুর উপজেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাঠে মাঠে ৷

চাষিরা বলছে, শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকমতো থাকলে সুষ্ঠুভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন তারা। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে পানি সেচ, জমি প্রস্তুত ও চারা রোপনের ব্যস্ততা।

উপজেলার রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামের কৃষক কালাম, আয়ুব আলী ও খলিলুর রহমান জানান, আমরা স্যালো বা বাওড়ের পানি ম্যাশিন দ্বারা উঠিয়ে জমি চাষে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন করছি। বিদ্যুতের সরবরাহ বর্তমান অনেক ভালো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি যুবকের মাউন্ট অ্যাকনকাগুয়া জয়

এ অঞ্চলের আরো বেশ কিছু কৃষক জানায়, জমি চাষ ও রোপন, পানি সেচ এবং কাটা-মাড়াইসহ প্রায় ১০ হাজার টাকা বিঘা প্রতি খরচ হয়ে থাকে। বিঘা প্রতি ফলন হয় ২৫-৩০ মন। বর্তমান বাজারে ধানের দাম কম রয়েছে। তার পরও কৃষকেরা আগামীতে ভালো দামের আশায় বুক বেধে মাঠে নেমেছে ৷

কৃষক খলিলুর জানান, যাদের নিজস্ব জমি তাদের কিছু থাকে। কিন্তু যারা বর্গাচাষী তাদের কিছুই থাকেনা। এতে করে প্রতিবছর আমাদের লোকসান গুনতে হয়। সরকার যদি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনে তাহলে ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে।

উপজেলায় চলতি মৌসুমে চাষিদের মধ্যে বোরো চাষের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকায় কৃষকরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার মণিরামপুর উপজেলায় ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দেশদর্পণ/বিএইচ/এসজে