বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

প্রতিদিন খবরের কাগজের পাতা খুললেই চোখ আটকে যায় আত্মহত্যা নামক খবরে। প্রতিনিয়ত খালিহচ্ছে মা বাবার কোল। এই সামাজিক ব্যাধি থেকে বের হবার কোন পথ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও না কোথাও এই অনাকাঙিক্ষত ঘটনা ঘটেছে । ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েও কেহ আত্মঘাতী হচ্ছে।

শনিবার এমনই ঘটনা ঘটে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার দড়িউমাজুড়ি গ্রামে। হতভাগা স্কুল ছাত্র বলাই মল্লিক। পিতা গতিশীল মল্লিক  এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্র মতে হরেন্দ্র শিকদারের বাড়িতে হিন্দুদের ধর্মীয় রয়ানী গান শোনার আবদার করে বলাই। বিদ্যালয়ের পড়া ও শীতের কারনে যেতে নিষেধ করা হয় । আর অভিমান করে সকলের অলক্ষ্যে ঘরের আড়ার সাথে গলায় দড়ি দেয়।

গান শুনে বড়ভাই কানাইলাল বাড়িতে ফিরে এ ঘটনা দেখে চিৎকার দিয়ে ভাইকে নামিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার সহপাঠীদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়। শিক্ষকরা তার বাড়িতে ছুটে আসে এবং শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান। এলাকাবাসী খবর শোনা মাত্র তাদের বাড়িতে যায় ।

থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ছেলেটি পরিবারের সদস্যদের উপর রাগ করে আত্মহত্যা করেছে । আজ রবিবার মৃতদেহ বাগেরহাট সুরহতালের জন্য পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দেশদর্পণ/এএম/এসজে