চাঁদা না দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও তার সন্তানকে মারধর

মাসুদ রানা রাব্বানী: রাজশাহী নগরীতে চাঁদা না দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও তার সন্তানকে মারধর করেছে দূর্বৃত্তরা।শনিবার বেলা ১১ টায় নগরীর মেহেরচন্ডী দায়রাপাঁক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত মুক্তিযোদ্ধাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ উদ্দিনের স্বজনরা জানায়, বছর খানেক পূর্বে মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ উদ্দিন (৬৩) মেহেরচন্ডী দায়রাপাঁক এলাকার স্থানীয় রাসেল নামক এক ব্যাক্তির মায়ের কাছে জমি ক্রয় করেন।

এ বছরের শুরুতে ওয়াহেদ উদ্দিনের বাড়ি করার কথা। এ প্রসঙ্গে রাসেলের চাচা স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি আসাদ বিভিন্ন ভাবে চাঁদা চেয়ে আসছিলেন। পরে বাড়ি বানানোর জন্য ইট আসাদের কাছে কেনার জন্য বলতে থাকে। সে সময় ওয়াহেদ উদ্দিন বলেন বাড়ি যখন তৈরী করবো তখন দেখা যাবে । তখন আসাদ বলে ‘আমাদের কাছে ইট কিনলে বাড়ি হবে তাছাড়া বাড়ি হবে না।

শনিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ উদ্দিন বাড়ি তৈরীর জন্য ইট কিনে ট্রাকে করে নামালে রাসেল এবং ‍তার চাচা আসাদ বাধা দেয়। এ সময় তারা ইট না নেয়ায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ চাঁদা দিতে নাকচ করলে তাকে ও তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে মারধর শুরু করে। এসময় আহত হন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে নাহিন ইসলামও।
আরও পড়ুন: নিজ ঘরে মিলল স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত লাশ

মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ উদ্দিনের ছেলে নাহিন ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি আসাদ ইট যেন তাদের কাছেই নেওয়া হয় বলে নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। আমাদের ইট কেনা হয়েছে অন্য জায়গায়। তাদের কাছে কেন ইট নেয়া হয়নি এই বলে সকালে আমাদের কাছে এসে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। আমার বাবা সে টাকা দিতে না চাইলে বাবাকে ও মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। আমি তাতে বাধা দিতে গেলে আমাকেও তারা মারধর করে। এতে আমার বাবার নাক দিয়ে অনর্গল রক্ত পড়তে থাকে।

তিনি আরও বলেন, রাসেল ও আসাদের এ ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। মুহুর্তের মধ্যে ফোন করে অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন লোক জোগাড় করে যাদের কাছে দেশীয় অস্ত্র ছিল। আমাকে তারা ধারালো কোন কিছু দিয়ে আঘাত করায় আমার হাতের তালুর কিছু অংশ কেটে যায়।

হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া হলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে অবহিত করে চন্দ্রিমা থানায় অভিযোগ প্রদান করা হবে বলে জানান আহত নাহিন ইসলাম।

দেশদর্পণ/এমআরআর/এসজে